চারিদিকে গাছপালা; গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সামনে। বাড়িতে যে যার মতো সময় কাটাচ্ছে। রাতও হয়েছে। সমস্তটা ঠিকই ছিল। সিসিটিভি ক্যামেরাও সমস্তটা ধরে রাখছিল নিজের মধ্যে। যে বাড়ির ক্যামেরা, তাঁর বাসিন্দা সকালে উঠে দেখতে গেলেন গত রাতে কিছু হয়েছে কিনা। সবটাই স্বাভাবিক, এটাই করে থাকি আমরা। কিন্তু এই ঘটনায় একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল অদ্ভুত একটি জিনিস। বেশ কিছুক্ষণ চলার পর দেখেন, একটি ‘ছায়া’ ঘোরাফেরা করছে চারিদিকে। খানিকক্ষণ ঘুরে তারপর চলে গেল। ক্ষতি কিছু হয়নি, কিন্তু এই ‘ছায়া’টি কে, বা কী! লকডাউনের ইংল্যান্ড আপাতত এমন রহস্যের মুখেই পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটে কেমব্রিজশায়ারে। সেখানের এক বাসিন্দা র্যা চেল জোনসের বাড়ির সিসিটিভিতেই ধরা পড়েছে এই জিনিস। এখন তো গোটা ইংল্যান্ডে চলছে লকডাউন। করোনা আতঙ্কে সবাই ঘরবন্দি। তাও, সাবধানের তো কোনো মার নেই! তাই সিসিটিভি ফুটেজ প্রতিদিন চেক করেন র্যা চেল। হঠাৎ একদিন সেই ফুটেজ দেখতে দেখতে চোখ আটকে গেল তাঁর। দেখলেন, রাতের অন্ধকারে উল্টোদিকের বাড়ি থেকে একটা আলোর ফোঁটা বেরিয়ে এল। কিন্তু কাউকে দেখা যাচ্ছে না তো! ভালো করে লক্ষ্য করতেই দেখা গেল, একটি ছায়ামূর্তি! মানে, কিছু যে আছে সেটা বোঝা যাচ্ছে; কিন্তু কী আছে তা অস্পষ্ট একেবারেই। বার কয়েক ঘোরাঘুরি করে সেই অদ্ভুত ‘ছায়া’ গাড়ির আড়ালে চলে যায়।
এই ফুটেজই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। তারপরই দুভাগ হয়ে গেছেন নেটিজেনরা। কারোর মতে, ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে। কারোর মতে সিসিটিভি’র টেকনিকাল সমস্যা; কারণ এর আগেও এরকম ঘটনায় তা প্রমাণিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ এসব কিছুই মানছেন না। তাঁদের মতে, এটা সত্যি সত্যিই ‘তেনাদের’ কাজ। ভূতুড়ে ব্যাপার! স্বয়ং র্যা চেলও বেশ ঘাবড়েই আছেন। অবশ্য দোষটা কোথায় বলুন তো! লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ শুদ্ধ হচ্ছে, দূষণ কমছে। পশুপাখিরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে— এমন দৃশ্য তো আগেও দেখেছি আমরা। এখন যদি দু-একজন ‘ভূত’ও বেরিয়ে পড়ে, তাহলে ক্ষতি কী!