বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে জাতীয় তো বটেই, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেরও নজরে রয়েছে একটি বিষয়। ভারত আর চিনের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব। করোনার অতিমারী পরিস্থিতির মধ্যেও এমন সংঘর্ষ সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। অবশেষে সেখানেই সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে এগোল দুই দেশই। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ধীরে ধীরে সেনা পিছিয়ে আনা হবে, সাম্প্রতিক আলোচনায় এমনই বক্তব্য প্রকাশ করেছে দুই শিবিরই।
গত মে মাস থেকে উত্তপ্ত হয়ে আছে ভারত-চিন সীমান্ত। পাক-সিন ইকোনমিক করিডোর, ভারতের আপত্তি এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনার জন্য তৈরি হওয়া রাস্তা— সমস্তটা নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছিল। তারই মধ্যে চলছিল দুই দেশের সেনাপ্রধানদের বৈঠক। দিল্লি আর বেজিংয়েও প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠক হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের সেনা। এক কর্নেল-সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। চিনের দিক থেকেও ৪৩ জনের মতো সেনার মৃত্যুর খবর বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিন নিজেদের শক্তি বাড়াতে থাকে। একই কাজ করতে থাকে ভারত।
পরিস্থিতি ক্রমশ যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। বিশ্বের নানা মহল থেকেও শান্তি প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল। অবশেষে সেই প্রক্রিয়ায় একটি সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হল। পূর্ব লাদাখে হওয়া সাম্প্রতিক ভারত-চিন সেনা বৈঠকের পর দু’তরফেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা কমিয়ে আনার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে চিনও। শুধু তাই নয়, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থায়ী বাঙ্কার তৈরি করা বন্ধ করবে চিন, এমনই কথা বলেছেন চিন সেনারা। আপাতত এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সবাই। কিন্তু বিপদ যে সম্পূর্ণ কেটে গেছে, সেটা এখনই বলতে রাজি নন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা। পরবর্তী পরিস্থিতি কোনদিকে এগোয়, তার দিকেই নজর রেখেছে মানুষ।
Powered by Froala Editor