সেই মার্চ মাস থেকেই দেশে করোনা হটস্পটগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে মুম্বাই শহর। সেইসঙ্গে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। আনলক পর্যায়ে ক্রমশ দেশের অন্যান্য প্রান্তে জনজীবন খানিকটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও মুম্বাই শহর এখনও স্তব্ধ। তবে এর মধ্যেই আশার কথা শোনাচ্ছে টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট। গবেষকরা জানাচ্ছেন আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের মধ্যেই শহরের মানুষ গোষ্ঠী অনাক্রমতা অর্জনে সফল হবে। আর বস্তি এলাকার ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকার ৫০ শতাংশ মানুষের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি বৃহৎ-মুম্বাই মিউনিসিপ্যল কর্পোরেশনের কাছে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন গবেষকরা। সেইসঙ্গে কীভাবে ধীরে ধীরে শহরের জনজীবন স্বাভাবিক করে তোলা যায় তারও একটি ব্লু-প্রিন্ট হাজির করা হয়েছে। তাঁদের মতে চলতি মাস থেকেই সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে ৩০ শতাংশ উপস্থিতির হার নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে। যদিও এর জন্য মাস্ক, হ্যান্ড সয়ানিটাইজার এবং সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর নভেম্বর মাসের মধ্যেই সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলা যাবে বলে জানিয়ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন
মুম্বাইকে ছাপিয়ে, দেশের নতুন কোভিড-কেন্দ্র এখন পুনে
তবে এই রিপোর্টে কোথাও দ্বিতীয়বার সংক্রমণের হিসাব নেওয়া হয়নি। আসলে রিপোর্ট তৈরির সময় ভারতের কোনো অঞ্চলেই রোগীর শরীরে দ্বিতীয়বার করোনা সংক্রমণের কোনো নজির পাওয়া যায়নি। এই সমস্ত তথ্য জড়ো করলে সময়সীমা খানিকটা পিছিয়ে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে এখনও মুম্বাই শহরে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ইতিমধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ হাজার। তবে সংক্রমণ যত বাড়ছে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতাও বেড়ে চলেছে। মহামারী পরিস্থিতিতে এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখায়।
আরও পড়ুন
মুম্বাইয়ের বস্তি অঞ্চলে ৫৭% মানুষের দেহেই রয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি, দাবি সমীক্ষার
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মুম্বাই-দিল্লিতে সংক্রমণের গ্রাফ নামলেও বিপরীত ছবি কলকাতায়, জানালেন এমসের ডিরেক্টর