বিশ্ব জুড়ে পরিবেশ নিয়ে আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বাদ নেই ভারতও। তার মধ্যেই রাতারাতি কেটে ফেলা হল সহস্রাধিক গাছ! মুম্বইয়ের আরে অঞ্চলে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা আমাদের সচেতনতার ওপর প্রশ্ন তো তুললই, সেই সঙ্গে প্রশাসনের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাল।
ঠিক কী ঘটেছিল অ্যারে-তে? মুম্বই মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের পক্ষ থেকে নতুন করে কিছু কারশেড তৈরি করার কথা ছিল। সেই প্রকল্পটা সম্পূর্ণ করার জন্য গাছ কাটার ‘অত্যন্ত প্রয়োজন’ অনুভব করেছিলেন তাঁরা। সংখ্যাটা একটা দুটো নয়, ২,৬৪৬! এমনকি এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছিল বৃহৎ মুম্বই পুরসভা! স্বভাবতই, এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে এই বিষয়ে। যার রেশ গড়ায় মুম্বই হাইকোর্ট পর্যন্ত। কিন্তু হাইকোর্টে গাছ না-কাটার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আর তারপরেই, গাছ কাটা শুরু হয়। রাতারাতি উধাও হয়ে যায় ২,১৩৪টি গাছ। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অ্যারে-র বাসিন্দারা। উত্তেজনা চরমে উঠলে, পুলিশ আরে-তে ১৪৪ ধারা জারি করে। রাতের অন্ধকারেই বিক্ষোভকারীদের ২৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু গাছ কাটা জারি থাকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা দেখা যায়নি।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে এই ঘটনায়। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে মহারাষ্ট্র সরকারকে দ্রুত গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কতগুলি গাছ কাটা হয়েছে, সেই বিষয় যাবতীয় তথ্য ২১ অক্টোবরের মধ্যে দিতে হবে। যে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে অবিলম্বে ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও মহারাষ্ট্রে বাঘ ‘অবনী’কে মারার ঘটনায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। উন্নয়নের নামে পরিবেশ নিধন আর কতদিন— প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।