আড়াই বছর পর সুবিচার পেল ছোট্ট ঐত্রী, মৃত্যুতে দায় ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরই

কেটে গেছে বহুদিন। তবুও শুকোয়নি ক্ষত। সারবেই বা কী করে? সন্তানের মৃত্যুতে কি চুপ থাকা যায়? তবে আড়াই বছর পর যোগ্য রায় খানিকটা হলেও মলম দিল মাতৃত্বের ক্ষতস্থানে। বিচার পেল ঐত্রী দে।

২০১৮ সালের জানুয়ারি। সাধারণ জ্বর-সর্দি নিয়েই ঐত্রী ভর্তি হয়েছিল কলকাতার নামকরা বেসরকারি হাসপাতাল আমরিতে। মুকুন্দপুর ডিভিশনে। ছোট্ট ঐত্রীর বয়স তখন মাত্র আড়াই বছর। তবে একরত্তি শিশুর আর বাড়ি ফেরা হয়নি সেবার। চিকিৎসকদের ভুল সিদ্ধান্তে তাকে বিদায় জানাতে হয়েছিল এই পৃথিবীকে।

ঐত্রীর পরিবার অভিযোগ জানিয়েছিল, ভুল ইঞ্জেকশনের প্রয়োগে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল তার। কিন্তু তারপরেও অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করেননি চিকিৎসকরা। পরে ঐত্রীর পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও দেখা গিয়েছিল, মৃত্যুর কারণ অ্যাসফিক্সিয়া। অর্থাৎ শ্বাসরোধেই মৃত্যু। 

মেয়ের মৃত্যুতে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনে মামলা দায়ের করেছিলেন ঐত্রীর বাবা-মা। গতকাল আড়াই বছর পর সেই মামলারই রায় প্রকাশ করল স্বাস্থ্য কমিশন। ক্ষতিপূরণ হিসাবে মুকুন্দপুর আমরির ওপর ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। তবে সন্তুষ্ট নন ঐত্রীর পরিবার। অভিযোগ ছিল ওই ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা নার্সের বিরুদ্ধেও। প্রশ্ন উঠেছিল ওই নার্সের আদৌ কোনো প্রশিক্ষণ, রেজিস্ট্রশন ছিল কিনা সে ব্যাপারে। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন নিয়ে এবং যোগ্য শাস্তি চেয়েই তাঁরা দ্বারস্থ হবেন উচ্চ আদালতের কাছে। 

Powered by Froala Editor