সকলেরই মুখে মুখে এখন ঘুরছে মহামারী, লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনীতির প্রসঙ্গ। কোপ পড়েছে উপার্জনে। এমনকি দেশের রাজকোষেও চলছে টানাপড়েন। তবে এই লকডাউনেই আরও ফুলে ফেঁপে উঠেছে মুকেশ আম্বানির ব্যবসা। মার্চের পর থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৯০ কোটি টাকা আয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল সেই তথ্যই।
চলতি বছর নিয়ে টানা ৯ বছর ভারতের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষে থাকলেন মুকেশ আম্বানি। এবছর ভারতের প্রথম পাঁচ ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শেষ চারজনের মোট সম্পত্তির থেকেও এগিয়ে রইলেন তিনি। এক বছরের মধ্যে ২.৭৭ লক্ষ কোটি থেকে তাঁর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৬.৫৮ লক্ষ কোটি টাকা। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় পাঁচ সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদের মধ্যেও জায়গা করে নিয়েছেন তেল থেকে টেলিকমের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি রিলায়েন্সের চেয়ারম্যান ও পরিচালক।
এক বছরের মধ্যে ৭৩ শতাংশ সম্পদ বৃদ্ধির এই ঘটনায় রীতিমত তাজ্জব ভারতবাসী। কিন্তু এই লকডাউন, মন্দার বাজারেও কীভাবে হল এই উত্থান? সমীক্ষা জানাচ্ছে লকডাউনে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ইন্টারনেটের চাহিদা। যার কারণে টেলিকম এবং বৈদ্যুতিন মাধ্যমেই ২৮ শতাংশ বেড়েছে আম্বানির আয়। অন্যদিকে আয়ের আরও একটা বড়ো কারণ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তাঁর বিনিয়োগ। কোভিড-১৯ এর আবহে বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেকক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার পাচ্ছে মানুষের কাছে। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ছেড়ে উচ্চ এবং উচ্চ-মধ্যবিত্তরা ঝুঁকছে বেসরকারি দিকেই। সেদিক থেকেও ২১ শতাংশ অতিরিক্ত সম্পদ আয় করেছেন আম্বানি।
কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল তাঁকে নিয়ে। নেটিজেনদের একাংশের অনুরোধ ছিল যেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের শেয়ার কেনেন আম্বানি। আবার কেউ কেউ সেখানে দাবি করেছিলেন, চাইলে পুরো ক্লাবকেই কিনে নিতে পারেন তিনি। তাঁর পক্ষে যে এমনটা একেবারেই অসম্ভব নয়, তাই যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল সাম্প্রতিক রিপোর্টে...
আরও পড়ুন
দারিদ্র্যে ধুঁকছে দেশ, অন্যদিকে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় ১৫ জন নতুন ভারতীয়
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মিউজিয়াম থেকে চুরি গেল মোনালিসা, নকল ছবি বিক্রি করে কোটিপতি আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ী