এভারেস্টের পথে পড়ে থাকা আবর্জনা দিয়েই শিল্পসামগ্রী তৈরি নেপালে

এই শীতের পারদ কমলেই পর্বতারোহীরা একে একে এগিয়ে যাবেন এভারেস্টের দিকে। আর সেই অভিযান শুরুর আগে বেসক্যাম্পে পৌঁছেই এবার চমক লাগার পালা। সেই চমক দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছেন নেপালের সাগরমাথা নেক্সট সেন্টারের উদ্যোক্তারা। জোরকদমে চলছে কাজ। কাজ বলতে এক অদ্ভুত শিল্পকর্ম। প্রতিটা সামগ্রীই তৈরি হয়েছে পাহাড়ের বুকে ফেলে আসা আবর্জনা দিয়ে।

খালি অক্সিজেন সিলিন্ডার হোক, বা ছেঁড়া তাঁবু অথবা ক্ষয়ে যাওয়া দড়ি; এইসব জিনিস নেমে আসার সময় ফেলে আসেন অনেক পর্বতারোহীই। আর এইসব আবর্জনার স্তূপে ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। অবশ্য নানা রকমের সচেতনতা উদ্যোগের ফলে অনেক আরোহীই এখন সেইসব আবর্জনা নামিয়ে নিয়ে আসেন। তবুও যা কিছু পড়ে থাকে, সেসব পরিষ্কার করার দায়িত্ব পালন করে সাগরমাথা নেক্সট সেন্টার।

সংস্থার কর্ণধার টমি গুস্তাফসন জানিয়েছেন, ফেলে আসা আবর্জনাকেও যে শিল্পের কাজে লাগানো যায় সেটাই দেখানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। আর পর্বতারোহীরা চাইলে এইসব সামগ্রী কিনতেও পারেন। তার থেকে যা অর্থ উপার্জন হবে, সবই পর্বত পরিষ্কার করার কাজে লাগানো হবে। সমুদ্রতল থেকে ৩৭৮০ মিটার উঁচুতে স্যানবোচে এবার তাই হয়ে উঠতে চলেছে এক অভিনব প্রদর্শনশালা। তবে আপাতত করোনা পরিস্থিতিতে পর্বতারোহণ খুব বেশি হবে না বলেই মনে করছেন সংস্থার সদস্যরা। ফলে মূল কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের জন্য। যদিও সাধারণ মানুষের মধ্যে যদি সচেতনতা তৈরি করা যায়, তাহলে সেও এক ইতিবাচক ইঙ্গিত।

Powered by Froala Editor