কিছুদিন আগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয় কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টে আবারও একই উদ্বেগের ছবি উঠে এল। অ্যাকশন-এইড ইন্টারন্যাশানাল এবং ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাসস্থান হারানো মানুষের সংখ্যাটা ৩ গুণ বাড়তে পারে। আর এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মহিলারা। আর তা নিয়েই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের ৪.৫ কোটি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাসস্থান হারাতে চলেছেন। সমস্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় সংখ্যাটা ৬ কোটি ছোঁবে বলে জানাচ্ছে রিপোর্ট। আর এর মধ্যে ভারতের অবস্থাই সবচেয়ে শোচনীয়। ইতিমধ্যে দেশের ১.৫ কোটি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাসস্থান হারিয়েছেন। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খরা, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ। ফলে ২০৫০ সালের মধ্যেই সংখ্যাটা তিনগুণ পর্যন্ত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে প্রাকৃতিক পরিবেশের চেহারাটা ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। গত ৫০ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা বেড়েছে ৩ গুণ। বদলেছে তার চরিত্র। প্রতি বছরই একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ নেমে আসে দেশের উপকূলে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্যা এবং খরা। গ্রামাঞ্চল থেকে অনেকেই পরিবার নিয়ে চলে আসছেন শহরে। তবে রিপোর্টে এমনটাও দেখা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের গ্রামেই রেখে আসা হচ্ছে। ফলে অকস্মাৎ দুর্যোগের কবলে পড়ার সম্ভাবনা মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে ঠিক কীভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব, সে প্রশ্নের উত্তর প্রশাসনকেই খুঁজে বের করতে হবে।
Powered by Froala Editor