সম্প্রতি রহস্যময় মনোলিথ নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল সারা বিশ্বের নেট দুনিয়ায়। অবশেষে উন্মোচিত হল রহস্যের পর্দা। মনোলিথ তৈরির দায় স্বীকার করলেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল স্টান্ট শিল্পী। প্রতিটি মনোলিথ তৈরি, স্থাপন এবং উচ্ছেদের পিছনেই ভূমিকা ছিল ‘দ্য মোস্ট ফেমাস আর্টিস্ট ২০২০’ দলের।
গত মাসে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা প্রদেশে একদল বন দপ্তর আধিকারিকের নজরে এসেছিল এই মনোলিথের অস্তিত্ব। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই তা উধাও হয়ে যায়। এর পর রোমানিয়া এবং ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটাস্কাদেরোর পাইন মাউন্টেনের জনহীন প্রান্তরেও পুনরাবৃত্তি হয় ঘটনার। একইরকম দেখতে ২.৮ মিটার উচ্চতার মনোলিথ স্থাপিত হয়েছিল এই জায়গা দুটিতেও। রাতারাতিই অদৃশ্য হয়ে যায় তারা।
বিপদ সংকেত থেকে শুরু করে, ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব— সমস্ত তত্ত্বই সামনে এনেছিল নেটিজেনরা। সেইসঙ্গে মনোলিথের গঠনের সঙ্গে ছিল সিনেমার সাদৃশ্যও। কাজেই বিপণনের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল তর্কে।
সম্প্রতি ওই শিল্পীদলের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে মুখোশ পরিহিত এক শিল্পীর ছবি পোস্ট করা হয়। দেখা যায় তিন-কোণা ধাতব মনোলিথ তৈরির কাজ করে চলেছেন তিনি। মজা করেই ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, “মনোলিথ রহস্যের পিছনে কি এই এলিয়েনই দায়ী ছিল?” এই পোস্টর পরেই একাধিক অনুরাগীরা জিজ্ঞেস করেন মনোলিথের স্রষ্টার বিষয়ে। নিজেদের শৈলীর কথা সেখানেই স্বীকার করে শিল্পীদলটি। তবে আগে থেকেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে আভাষ দিয়ে রেখেছিলেন গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ম্যাটি মো। তিনি জানান, প্রথম মনোলিথটি স্থাপনের সময় থেকেই তাঁর প্রোফাইলে তিনটি সরলরেখার একটি সাংকেতিক চিত্র আপলোড করে রেখেছিলেও তিনি।
তবে শুক্রবার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার খানিকক্ষণ আগে চতুর্থবারের জন্য চমক দিয়েছেন এই শিল্পীরা। জোসুয়া ট্রি জাতীয় উদ্যানে এদিন স্থাপিত হয় চতুর্থ একটি মনোলিথ। সেইসঙ্গে মিউজিয়াম সংরক্ষণ মাণের, প্রমাণ আকারের মনোলিথের অর্ডারও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। প্রতিটির জন্য ৪৫ হাজার ডলার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই শিল্পীরা। ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যেই সরবরাহ করা হবে এই শৈলী। বলাই বাহুল্য, রহস্যময় এই মনোলিথের ব্যাপারে মানুষের উত্তেজনার অন্ত্য ছিল না প্রথম থেকেই। কাজেই এমন জিনিস নিজের সংগ্রহে সংযুক্ত করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন একাধিক ব্যক্তি। তবে তাঁদের কারোরই নামই প্রকাশ্যে আনেনি শিল্পী সংগঠনটি...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
এই প্রথম আবিষ্কৃত হল ছায়াপথের ‘জীবাশ্ম’, উন্মোচনের পথে মহাজাগতিক বিবর্তনের রহস্য