ফুটবল একটা যৌথ খেলা। এই খেলায় যেমন মাঠে থাকে দুই পক্ষের ১১ জন করে খেলোয়াড়, তেমনই গ্যালারিতে থাকা দর্শকরাও খেলারই অঙ্গ। কিন্তু সাম্প্রতিক একাধিক বিপর্যয়ে লণ্ডভণ্ড সেই গ্যালারির মানুষদের জীবন। আর তাঁদের এই দুর্দিনে মাঠের খেলোয়াড়রা এগিয়ে আসবেন না, তাই কি হয়? আমফান বিধ্বস্ত মানুষদের দিকে তাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মোহনবাগান ক্লাবের গোলকিপার শিল্টন পাল।
দুই দশকের ফুটবল জীবনে বারবার অনুরাগীদের পাশে পেয়েছেন ময়দানের বাজপাখি। এবার তার প্রতিদানের পালা। শিল্টন জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই তিনি নামখানা গিয়ে দুর্গত মানুষদের জন্য খাবার এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিয়ে আসবেন। সেইসঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ে মেডিক্যাল ক্যাম্প করার পরিকল্পনাও তাঁর আছে। খাবার এবং চিকিৎসার অভাবে মানুষের মৃত্যু হবে, এটা মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
কিছুদিন আগে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় একজোট হয়েছিলেন মেহতাব হোসেন, সুব্রত পাল, অভিজিৎ মণ্ডলের মতো ফুটবলাররা। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের হাতে তুলে দিয়েছিলেন হোমিওপ্যাথি ওষুধ। তবে করোনা ভাইরাসের আক্রমণের পরেও মানুষের মাথার উপর ছাদ ছিল। লকডাউনের ফলে খাদ্য সংকট অবশ্য দেখা দিয়েছিল। কিন্তু আমফানের তাণ্ডব খাবার এবং আশ্রয় দুটোই হারিয়েছেন মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে অনেক মানুষের মতোই এগিয়ে এসেছেন শিল্টন। আবার মোহনবাগান ফ্যানস ক্লাবের সদস্যরাও এই দুর্দিনে এগিয়ে এসেছেন। বিরাটিতে ক্লাবের সদস্যরা ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন দুঃস্থ মানুষদের হাতে। সেইসঙ্গে ছিল রক্তদান শিবির। সেই অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন শিল্টন পাল।
এইসমস্ত মিলিত প্রচেষ্টার দৌলতে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ জীবন ফিরে আসবে। আবারও গোলপোস্টের দিকে ধেয়ে আসা বলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বেন শিল্টন পাল। গ্যালারিজুড়ে আবারও উঠবে হাততালির ঝড়।
Powered by Froala Editor