লকডাউনে অর্থাভাব পৌঁছেছে চরমে। কিন্তু তার জন্য কি বন্ধ হয়ে যাবে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা? এখন লকডাউনে পুরো জগতটাই পাল্টে গেছে অনলাইনে। তাল মিলিয়ে চলতে গেলে তো দরকার স্মার্টফোনের। আর সেই খরচ জোগাতেই গরু বিক্রি করে দিলেন হিমাচলের এক বাসিন্দা।
কুলদীপ কুমার নামে ওই ব্যক্তির বসবাস হিমাচল প্রদেশের কাংরা জেলার জ্বালামুখী অঞ্চলের গুম্মার গ্রামে। পেশায় একজন গোয়ালা ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী দিনমজুরের কাজ করেন। তবে লকডাউনে উপার্জন বসে গেছে অনেকটাই। তাঁদের দুই ছেলে-মেয়ে পড়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীতে। পড়াশোনার জন্য স্মার্টফোন এখন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে। তাই স্কুল থেকেও স্মার্টফোনের জন্য চাপ বাড়ছিল দিন দিন।
কুলদীপবাবু জানান, প্রথম লোন নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর আর্থিক অবস্থার কথা বিচার করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও রাজি হয়নি ঋণ দিতে। শেষমেশ বাধ্য হয়েই দুটি গরুর একটিকে তিনি বিক্রি করলেন। তাও মাত্র ৬ হাজার টাকা মূল্যে। সেই টাকা দিয়ে ঘরে এল স্মার্টফোন। কিন্তু এর জন্যে যে অদূর ভবিষ্যতে তাঁকে আরও গভীর আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়তে হবে, তাও বুঝতে পারছেন তিনি। কিন্তু সন্তানদের পড়াশোনা অন্তত চলুক, মনকে এটাই বোঝাচ্ছেন তিনি।
মাটির বাড়িতেই বসবাস করেন কুলদীপ কুমার। সরকারের কাছে আবেদন করায় বিপিএল এবং আইআরডিপি-র খাতায় নাম লেখালেও সেসব সুবিধার এখনও অবধি কিছুই পাননি কুলদীপবাবু। তবে ঘটনা চাউর হতে এখন নড়ে চড়ে বসেছেন সেখানকার বিধায়ক। বিডিওকে নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত ওই ব্যক্তির কাছে সাহায্য পৌঁছানোর জন্য। এই ঘটনা আরো একবার মনে করিয়ে দিল, করোনার আবহে কতটা অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতের প্রান্তিক মানুষেরা।
Powered by Froala Editor