হাজার হাজার শ্রমিকের ভিড় বান্দ্রা রেল স্টেশনে, লাঠি চার্জ পুলিশের

দেশজুড়ে লকডাউন প্রথম থেকেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁদের কাছে। তাঁদের বলতে, অর্থনৈতিক পিরামিডের নিচের স্তরে থাকা শ্রমজীবী মানুষরা। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উপার্জন। সঙ্গে ভিনরাজ্যে থাকার খরচ বহন করতে হচ্ছে কার্যত বেকার হয়েই। অনেকে ফিরতে পেরেছিলেন নিজের রাজ্যে। আবার অনেকে ফিরতে পারেননি।

মুম্বাইয়ের বান্দ্রা রেলষ্টেশন আবার একবার মনে করিয়ে দিল আনন্দবিহার বাসস্টপের ছবি। আজ দুপুর থেকেই জনজোয়ারে ভাসছে বান্দ্রা। মূলত অভিবাসী শ্রমিকদেরই ভিড়। বলাই বাহুল্য, বাড়ি ফেরার তাগিদেই এই জনজোয়ার।

গত ২৫ মার্চ ২১ দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সেই সূত্রেই আজ শেষদিন লকডাউনের। এমনটাই ভেবেছেন ওই শ্রমিকেরা। ভেবেছেন নিয়মমাফিক চালু হয়ে যাবে রেল পরিষেবা। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ যে বাড়ানো হয়েছে আরও, অনেকেই জানেন না সেই কথা। ভিড় বাড়তে থাকলে এদিন বিকেলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে, জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার জন্য।

মুম্বাইয়ের ক্যাবিনেট মন্ত্রী জানান, পরিমাণ মতো খাদ্যদ্রব্য অভিবাসী শ্রমিকদের রোজই প্রদান করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। লকডাউন যতদিন চলবে, এই পরিষেবাও জারি থাকবে সরকারের। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ দীর্ঘ হওয়ায়, উদ্বিগ্ন হয়েই এই জমায়েত, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, বান্দ্রার বিধায়ক অদিত্য ঠাকরে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন কেন্দ্রকেই। তাঁর কথায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

মহারাষ্ট্র তথা মুম্বাইয়ে ভয়ঙ্কর ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। দ্রুত হারে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। এই সময়ে এমন জমায়েত কি ত্বরান্বিত করবে পরিস্থিতিকে? চিন্তায় প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যবিভাগ। বাড়তে পারে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কা বাড়ছে বান্দ্রায়…