যেন এক অন্তর্ঘাত! নিষ্ঠুর এবং ততোধিক প্রহসনময়; সেইহেতু জ্বালা কিঞ্চিৎ তীব্র। এই সেদিনও, সুবিধাপ্রাপ্ত বর্গের মানুষ নিজেকে সগৌরবে বিচ্ছিন্ন ও দেশের জন্য ব্যাপক-বৃহত্তর এক ‘যুদ্ধের’ সৈনিক ভেবে যুগপৎ তৃপ্তি ও দেশপ্রেমের উদ্গারে ব্যস্ত। ঠিক তখনই, অকস্মাৎ শান্তিকুঞ্জের নীরবতা বিঘ্ন করে, মায়াময় টেলিভিশনের নরম আলোর স্ক্রিন বরাবর হেঁটে যেতে শুরু করলেন বহু বহু সংখ্যক ‘অদৃশ্য’ মানুষ। চোখে-মুখে ভয়; ক্লান্তি; তবু অনোন্যপায়। কেউ কাঁধে তুলে নিয়েছেন তাঁর স্ত্রীকে। কারও মাথায় সামান্য সম্বল। একইভাবে হেঁটে চলেছে বাচ্চারা। কোথাও আবার পুলিশের লাঠির পাশে পাশে ব্যাঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে চলেছে তারা। কেউ আবার টানা দু’দিন পরে সামান্য খাবার পেয়ে আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
এঁরা মানুষই; কিন্তু আমরা ঠিক তাহাদের মতো নই; ফলে, আমাদের সঞ্চিত শান্তির মার্জিত লকডাউন যাপনের ভিতর ভুঁইফোড়ের মতো এদের জেগে ওঠা প্রবল অস্বস্তিসূচক। আমাদের তাই অকস্মাৎ মনে পড়ে গেল সেই বহুপরিচিত শব্দবন্ধ - ‘সরকারি উদাসীনতা’। কী অমোঘ! কেন, কেন এমন হবে? সেইহেতু ক্ষোভে ভেসে গেল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ডুবু-ডুবু। যেন ধরে নেওয়া গিয়েছিল যে, এতদিন সবই ঠিক ছিল; ঠিক কি ছিল? ছিল; তবে, আমাদের জন্য; তাহাদের জন্য নহে; ফলে, যে-দৃশ্য আভূমি দেশকে কাঁপিয়ে দিল আবার দিন দুই পরে তা ভুলেও যাওয়া গেল, তাই-ই বস্তুত উদাসীনতা ও এ-দেশের বাস্তবতা।
গোড়াতে যদি ‘পরিযায়ী’ কিংবা তুলনায় সম্মানজনক ‘অতিথি’ শব্দদুটিকে আপাতত সরিয়ে রাখি, তবে থাকে শুধুই শ্রমিক। একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। যিনি জানেন না যে বিশ্ব-অর্থনীতির হাওয়ামোরগ কবে কেনজ্ থেকে বদলে যায় ফ্রিডম্যানে। অর্থনীতিতে সরকারের নাক গলবে কি না, নাকি একচেটিয়া বাজারের প্রতিযোগিতা ও আধিপত্য থাকবে, সে নিয়ে মাথা ঘামান না তাঁরা। ফলত দেশের চালকের আসনে, কবে রাজনৈতিক বিরোধিতা হেতু, কোন মডেলের অর্থনীতির সমর্থক এসে বসবেন, তা-ও তাঁরা জানেন না। তাঁরা শুধু বিশ্বাস করেন তাঁদের সমর্থ দুটি হাতে। যা উদ্বৃত্ত শ্রমের হিসেব রাখে না। কিন্তু এটুকু জানে, যে তার আবশ্যিক শ্রম তাঁর সংসার প্রতিপালন করতে পারবে স্বচ্ছন্দেই।
এবার, এই হাত দুটিকে যদি বেঁধে দেওয়া হয়? অপরিকল্পিত লকডাউন কার্যত তা-ই করেছে। সেই সঙ্গে, গল্পের শেষে নীতিকথার মতো জুড়ে দেওয়া হয়েছে কিছু ভাষণ, সাহায্যের প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি। কিন্তু আমরা সকলেই জানি, সে নীতিকতার অনুশীলন কতদূর বাস্তব। ফল দাঁড়িয়েছে, একজন খেটে খাওয়া দম্পতি এমনকি চল্লিশ টাকা মাথাপিছু মজুরিতে কিছু কাজ পেলেও নিয়ে নিতে রাজি হচ্ছেন। বরজের মালিক দামদর ছাড়াই দিয়ে দিচ্ছেন পান; অন্তত পচে যাওয়ার থেকে তো ভালো। বলা বাহুল্য, ‘যুদ্ধ’জয় যদি সম্ভব হয়, সে ইতিহাস এ-সব কথা মনে রাখবে না। কিন্তু ঘটনা এই যে, অদৃশ্য অনুজীবের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ‘যুদ্ধ’ মহড়ায় আমরা ডেকে এনেছি সেই সর্বগ্রাসী অনাহারকে, যার হননমাত্রা এর দ্বিগুণ তো বটেই।
এবার, এই মানুষদের সঙ্গে পরিযায়ী কি অতিথি শব্দটি জুড়ে দেওয়া যাক। তাতে সমস্যা বহুমাত্রিকতা পায়। একজন মানুষ কেন পরিযায়ী শ্রমিক হন? সোজা উত্তর, কাজের জন্য। জীবনধারণের জন্য। হয়তো, এমন একটি রাজ্যে তাঁর জন্ম, যা কিনা অর্থনৈতিকভাবে বেশ দুর্বল। ফলে, যেখানে কাজ আছে, সেখানে তাঁকে চলে যেতে হয়। অথবা, এমন একটি রাজ্যে তাঁর জন্ম, যেখানে শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। ফলে, নিজের রাজ্যে কাজের সুযোগ কম। তাই তিনি বাইরে বেরোন, কোনও দাদা-কাকা অর্থাৎ আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের হাত ধরে। এরকম বহু কারণ আছে। অনেকসময় স্থানিক মানুষ অঞ্চলভিত্তিক যে কাজ করতে চান না, বাইরের মানুষ এসে সেই কাজের চাহিদা মিটিয়ে দেন।
তুলনামূলক স্বল্প দামে শ্রম পেয়ে স্থানিক প্রয়োজন মিটে যায়। কিন্তু তাতেও কোনো-না-কোনো মানুষ ঘরছাড়া হয়। অর্থাৎ, সাধ করে কেউ ঘর ছাড়ে না। আর এর পিছনে তার নিজেরও তেমন হাত থাকে না। অর্থাৎ, একজন মানুষ ঠিক কোন রাজ্যে, কোন অর্থনৈতিক পরিবেশে এবং কোন পরিবারের বড়ো হয়ে উঠবে, তা তার নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। অন্যদিকে জীবনধারণের জন্য এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার অনুমোদন তাকে দেয় স্বয়ং সংবিধান। সে তাই যায়। এবং যাওয়া মাত্রই ‘অদৃশ্য’ হয়ে ওঠে।
অনেকে বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা একরকম অদৃশ্য-মানুষ। যে-অঞ্চল তাঁরা ছাড়েন, সেখানে তাঁদের প্রাসঙ্গিকতা ক্রমশ কমতে থাকে। যদিও তাঁদের শ্রমের বিনিময়েই উপার্জিত অর্থেই যেহেতু পরিবারের ভরণপোষণ চলে, তাই স্থানিক অর্থনীতিতেও তাঁদের অনেকটা অবদান থেকে যায় বইকি! আবার যে অঞ্চলে গিয়ে তাঁরা খেটে খান, সেখানেও তাঁরা বাইরের মানুষ, প্রায় দাস-মজুর। ফলে, সেই অঞ্চলও তাঁদের আলাদা করে স্বীকৃতি দেয় না। পৃথকভাবে তাঁদের খেয়াল করার কথা তেমন কেউ ভাবেন না। বহুতর সমীক্ষা ইত্যাদিতে তাঁরা তাই বাদ থেকে যান। উপরন্তু তাঁরা অনেকসময় ভোটপ্রক্রিয়ারও বাইরে থেকে যান। কারণ, যখন যে রাজ্যে ভোট হয়, তখন তাঁর বাইরের রাজ্যে খাটতে থাকা শ্রমিকের বেশিরভাজনই ছুটি পান না।
কিন্তু সামগ্রিকভাবে দেশের তো এঁদের ভুলে থাকার কথা নয়; কারণ সংখ্যায় এঁরা কম নন, এবং দেশের মোট শ্রমশক্তির অন্তত ২০ শতাংশ এঁদের থেকে আসে। দেশের অর্থনীতিতেও তাঁদের অবদান যথেষ্ট; এঁরা যে পরিমাণ উদ্বৃত্ত শ্রম দেন, তা নির্মাণ থেকে শুরু করে বহু সেক্টরকে লাভজনক করে রেখেছে। স্বল্পমূল্যের এই শ্রম কাঁচামাল হিসেবে বাজারকে সচল রাখতে সাহায্য করে না, এমনটা নয়। ফলে, হিসেবমতো এঁদের খাতির করাই দস্তুর ছিল। কিন্তু সেই সামন্ততন্ত্র থেকে ধনতন্ত্রের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে, এঁদের না-খাতির করাই ট্র্যাডিশন। বরং একদল লেঠেল কি গুন্ডা বা নজরদার পোষা হয়, এঁদেরই পয়সায়, যাঁরা এঁদের উদ্বৃত্ত শ্রমের জোগান বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিনিময়ে, এঁরা পরিবারে কথা চিন্তা করে, নিজেরা একটা মনুষ্যেতর জীবনকেই বেছে নেয়।
এভাবেই চলছে; চলে যাচ্ছে; একমাত্র রাজ্যগুলি নীতি নির্ধারণে যদি এঁদের গুরুত্ব দেয়, তবেই এঁদের জীবনযাত্রা খানিকটা সহজ হয়। ২০১৯-এর ইন্টারস্টেট মাইগ্রেন্ট পলিসি ইনডেক্সে দেখা যাচ্ছে, কেরল একমাত্র সে-কাজটি সুচারুভাবে করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ১০০-র মধ্যে সে-রাজ্যের পয়েন্ট ৬২। অর্থাৎ, কেরল আজ যে শুধু ‘অতিথি’ বলে চমকে দিচ্ছে এমনটা নয়; অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মহারাষ্ট্র, টেনেটুনে পাশ করে ৪২। দিল্লি ৩৩, গুজরাট ৩৫। মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত শ্রমনীতি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, তাঁদের বাচ্চাদের জন্য কল্যাণমূলক পরিষেবা ইত্যাদির ভিত্তিতেই এই মূল্যমান ধার্য করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে রাজ্যভিত্তিক সামগ্রিক ছবি স্পষ্ট করেই বলে যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের আলাদা গুরুত্ব দেওয়ায় আমাদের নীতিনির্ধারকরা যথেষ্ট চিন্তিত কোনোদিনই তেমন ছিলেন না। ফলত আজ যে নতুন করে উদাসীন, এমনটা বলা যায় না। পরন্তু আমরাও আলাদা করে এঁদের কথা কখনও বলি না। এই শহরেও নানা কাজে এঁরা থাকেন। হয়তো আমাদের বাড়ির পাশে নির্মীয়মাণ বহুতলে তাঁদের কাজ করতে দেখি। কিন্তু তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আমরাও ভাবিত ছিলাম, এমনটা বললে সত্যের অপলাপ হবে।
ফলে, আজ যে দৃশ্যের মুখে আমাদের পড়তে হচ্ছে, তা এই সামগ্রিক উদাসীনতা, অনুভূতিশূন্যতার ফলাফল। আমাদের অ্যাপ-শপিংমল-উইকেন্ড পার্টির জীবন আর সোশ্যালমিডিয়াভিত্তিক প্রতিবাদের ‘বিবেক সাফ’ করার অভ্যেস আগে তাই কোনোদিন সরকারকে বাধ্য করেনি এঁদের কথা ভাবতে। বলেনি যে, ধর্ম-ব্যবসা ছেড়ে, দলীয় রাজনীতি ছেড়ে শ্রমিক-কৃষক-মজুরকে প্রাধান্য দাও। আমাদের স্বল্প শব্দের টুইট-তর্জা কোনোদিন ছুঁতে পারেনি এই বাস্তবতা; চায়ওনি। আসলে আমরা ওদের থেকে আমাদের পৃথিবীকে আলাদা করেই নিয়েছিলাম। আজ দুই পৃথিবীকে এক করে দেখার কারণেই খানিকটা বিবেক দংশন হচ্ছে; যদিও আমরা জানি ব্যথামাত্রই গায়েব হবে চুটকিতে আর পরিযায়ী শ্রমিক থেকে আমাদের মন ছুটে যাবে ওয়েব সিরিজের টানটান থ্রিলে। সরকারের নীতি নির্ধারণে যে নাগরিকেরও ভূমিকা আছে, এবং প্রয়োজনে তার জন্যে পথে নামতে হয়, এ-কথা আমরা সাম্প্রতিক অতীতে যতবার চেয়েছি ততবার ভুলে থাকার কমফোর্ট জোন বেছে নিয়েছি।
আসলে সংবেদনশীলতা কোনও অ্যাপ নয় যে ডাউনলোড মাত্র সকলের প্রাণ সকলের জন্য কাতর হবে। দীর্ঘদিনের বিচ্ছিন্নতার অনুশীলন, বলা ভালো ধনতান্ত্রিক সমাজের কাঠামোর ভিতর গড়ে ও বেড়ে ওঠা আমাদের মন-মনন-চিন্তনে এই অসংবেদনশীলতা এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে আজ আমাদের উদ্বেগ-ও রীতিমতো শৌখিন এবং সেইহেতু দৃষ্টিকটু; এমন কোনও এডিটিং সফটওয়ার নেই যা তাকে কাস্টোমাইজ করে ঝকঝকে মানবিক করে তুলতে পারে! ধন্য সে দেশ যেখানে বীরের প্রয়োজন হয় আর ধন্য সে মানুষ যেখানে মানবিক হয়ে উঠতে মহামারীর ধাক্কা লাগে। সুধীজন কেউ কেউ লকডাউনের নিশ্চিন্ত ঘেরাটোপে বসে বলছিলেন করোনার আতঙ্ক নাকি সাম্যবাদী; হবেও বা; আমরা সে বিচারের যোগ্য নই। যে অভুক্ত মা সদ্যোজাতকে শুইয়ে রেখে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন, তাঁর কাছেই হয়তো এর জবাব আছে।
বস্তুত লকডাউন ‘যুদ্ধ’ নয়। এই পরিস্থিতি সফল করে তুলতে গেলে মানুষ কী চায়, তা জানাও জরুরি, অর্থাৎ অংশগ্রহণের ভিত্তিতেই সাফল্য এবং সেই লক্ষ্যেই পদক্ষেপ করা উচিৎ বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। অথচ আমাদের কে বা কারা যেন বুঝিয়ে দিল, এটা কুরুক্ষেত্র আর এ-যুদ্ধ জিততে মানুষ-ই সব। সে ঘরে না-থাকলেই নয়। তা বটে! তবে ঘরে থাকার দরুণ উদ্ভূত সমস্যাগুলি মেটাতে সরকারকে আরও সংবেদনশীলতার পরিচয় দিতে হত। তা হয়নি বলেই, এঁরাও ঘরে ফিরতেই চেয়েছে। বলা হয়েছে, তার পিছনে দায়ী ফেক নিউজ। সবার আগে তাই ফেক নিউজ বন্ধ করে খানিকটা ঘুরপথে মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে যে দ্রুততায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেই সদিচ্ছার জোর থাকলে এঁদের ঘরে কি ফেরানো যেত না? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।
দিনকয় আগে, যখন আমাদের চোখের সামনে অনুপ্রবেশের ভূতের নির্মাণ চলছিল সযত্নে, তখন অধ্যাপক অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যভিত্তিক অভিভাষণের দিকটিকে আমাদের খেয়াল করতে বলেছিলেন। মাস দুয়েকের মধ্যে দেখা গেল, সে মীমাংসা তো অনেক দূর, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরতে হচ্ছে প্রশাসনের লাঠির সামনে। স্পষ্টতই বোঝা যায়, এই ব্যবস্থা এসব নিয়ে চিন্তিতই নয়। আর, এঁদের তো স্বীকারই করেন না। যদিও এঁদের শ্রম নিতে তার আপত্তি নেই। এরপর, যখন এই সংকট কাটবে, তখন এঁদের অনেকেরই কাজ থাকবে না। বহুজন কাজের জায়গা ফিরে যেতে ভয় পাবেন বলে মত চিন্তকের। সে হয়তো আর-এক সংকটের সৃষ্টি হবে। তবে এটা ঠিক, আমরা আবার আমাদের নীরব দর্শকের ভূমিকায় ফিরে যাব।
এ ছাড়া আমাদের কী করার আছে বা ছিল? আমাদের শুধু যে-প্রশ্ন করার কথা ছিল,- শ্রমিকদের দিকে এবং এমনকি আয়নায় নিজেদের দেখেও,- তা হল, ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা মানুষের মঙ্গল করতে পারে, এখনও এই অন্ধবিশ্বাসে আস্থা রাখার আর কী এমন যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে? এর উত্তর আমাদের একেবারেই যে অজানা, তা নয়; বহু মহামারী, ধনতন্ত্রের নিজস্ব সংকটে জেরবার হতে হতে নিয়তিতাড়িত মানুষ তা হয়তো জানেও। দুর্ভাগ্য যিনি এই উত্তরের সুলুক দিয়েছিলেন, কার্ল মার্ক্স নামের সে-ভদ্রলোককে, দলীয় ফ্রেমে বাঁধাই করে টঙে তুলে না-রাখলেই হয়তো আমাদের মঙ্গল হত।
(মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)