প্রযুক্তির দৌলতে বাড়িতে বসেই হেঁটে দেখা যাবে বিদেশ-বিভূঁইয়ের পথ। প্রবাসী বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের সঙ্গেও অনায়াসেই করা যাবে করমর্দন। আজ থেকে এক দশক আগেও এসব ছিল কেবলমাত্র কল্পবিজ্ঞানের উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। তবে মেটাভার্সের সৌজন্যে এবার বাস্তবায়িত হয়েছে এই দৃশ্য। ভার্চুয়াল জগতে বিশ্বব্যাপী অবাধ বিচরণের এমনই সুবিধা এনে দিয়েছে মেটাভার্স। তবে এবার আর ‘অবাধ’ থাকছে না মানুষের এই ডিজিটাল-যাপন। বাস্তব দুনিয়ার মতোই মেটাভার্সের পরিষেবা নিতে গেলেও গুনতে হবে গুড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি।
সম্প্রতি এমনটাই জানাল এআরএস-টেকনিকার রিপোর্ট। ভার্চুয়াল জগতে যেকোনো সম্পত্তি এবং সামগ্রী পকেটস্থ করতে গেলেই গুনতে হবে ট্যাক্স। হুবহু বাস্তবের দুনিয়ার মতোই। তাতে আখেরে আয় হবে সরকারেরও। খ্যাতনামা মেটাভার্স প্রযুক্তি সংস্থা লিন্ডেন কিছুদিনের মধ্যেই চালু করতে চলেছে এই বিশেষ বন্দোবস্ত। ২০১৮ সালে মার্কিন সর্বোচ্চ আদালতের জিএসটি নীতি মেনে আগামী এপ্রিল মাস থেকেই এই শুল্ক ব্যবস্থা লাগু হচ্ছে সেকেন্ড লাইফ মেটাভার্স জগতে। পরবর্তীতে অন্যান্য মেটাভার্স প্ল্যাটফর্মগুলিতেও শুরু হবে এই শুল্ক। মার্কিন নাগরিকদের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ব্যবহারকারীরাও এই নীতির আওতায় থাকবেন। এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মেটাভার্সকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা শুরু করেছে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা। শুধু সরকারি মিটিং-এর জন্যই নয়, মেটাভার্সের ভার্চুয়াল দুনিয়ায় খাবার দোকান থেকে শুরু করে চিত্র প্রদর্শনী, বিবাহ অনুষ্ঠান, ডিজিটাল ‘জমি’ কেনা-বেচা— সবকিছুই শুরু হয়েছে ধীরে ধীরে। ফলে, তার বাণিজ্যীকরণও আবশ্যিক হয়ে উঠেছিল বলেই দাবি প্রযুক্তি সংস্থাটির। অবশ্য এর বহু আগে থেকেই শুল্ক পদ্ধতি চালু করার দাবি জানিয়ে আসছে সেকেন্ড লাইফ। কিন্তু ব্যবহারকারীদের বিক্ষোভের ফলেই এক ধাপ পিছিয়ে গিয়েছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি। এবার সংস্থার আয়ের স্বার্থেই শেষ পর্যন্ত জারি হল জিএসটি।
অন্যদিকে মার্ক জুকেরবার্গের মেটাভার্স সংস্থা ‘মেটা’-ও হাজির হতে চলেছে অত্যাধুনিক ভার্চুয়াল দুনিয়ে নিয়ে। সেই পরিষেবার উপরেও শুল্ক বসবে কিনা, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। সময়ই দেবে এই উত্তর…
আরও পড়ুন
মেটাভার্সে একের পর এক দুর্ঘটনা, উঠছে প্রশ্ন
Powered by Froala Editor