সমুদ্রের জল থেকে মাথা তুলে উঠে এলেন এক সুন্দরী রমণী। রূপের জাদুতে মুগ্ধ সকলেই। কিন্তু আরও খানিকটা উঠে আসতেই অবাক সকলে। এই নারীর কোনো পা নেই। কোমরের নিচের দিকটা দুই ভাগে ভাগ হয়ে ঠিক মাছের লেজের মতো আকৃতি নিয়েছে। ইউরোপের রূপকথা থেকে প্রাচ্যের নানা কাহিনিতেও শোনা যায় এই মারমেড বা মৎস্যকন্যার কথা। কিন্তু চোখের সামনে কেউ দেখেছেন কি? না আজ অবধি তেমন দৃষ্টান্ত নেই। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠা একটি ছবি অবাক করেছে অনেককেই। জীবিত মৎস্যকন্যা নয়, আসলে একটি কঙ্কালের ছবি। কিন্তু সেই কঙ্কাল দেখেই বোঝা যায় এর উর্ধ্বাঙ্গ মানুষের মতো এবং নিম্নাঙ্গ মাছের মতো।
গত ১ জুন এক ব্রিটিশ দম্পতি বেড়াতে গিয়েছিলেন লিভারপুলের সমুদ্রসৈকতে। সেখানেই ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ একটি অদ্ভুত জিনিস দেখে এগিয়ে যান স্ত্রী। আর তিনিই আবিষ্কার করেন এই কঙ্কালটি। তারপর সেটির ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেন। দেখতে দেখতে ভাইরাল হয়ে ওঠে সেই ছবি। তবে এই ছবি কতদূর সত্যি, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, কঙ্কালটি ইংল্যান্ডের প্রাণী গবেষণাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার অনেকে মনে করছেন, এমন কোনো কঙ্কাল পাওয়াই যায়নি। ছবিটিই আসলে ভুয়ো।
এর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের এক ব্যক্তি এবং ২০১৯ সালে এক আফ্রিকা পর্যটক একইরকম দুটি ছবি শেয়ার করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। সেগুলিও একইরকম ভাইরাল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় একটি ছবিও আসল নয়। মানুষের কঙ্কাল এবং মাছের কঙ্কালের ছবি জুড়ে তা তৈরি করা হয়েছে। মারমেড বা মৎস্যকন্যা আজও এক রহস্য। অনেকেই বিশ্বাস করেন এক সময় পৃথিবীতে সত্যিই এমন প্রাণীর বাস ছিল। আবার বিবর্তনের জানা তত্ত্বগুলি মেনে নিলে তা সম্ভব নয়। সত্যিই মারমেডের কঙ্কাল পাওয়া গেলে প্রশ্নের মুখে পড়বেন ডারউইনও।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
কেন ‘অ্যাবোমিনেল মিস্ট্রি’ গোপন করেছিলেন ডারউইন? প্রকাশ্যে এল কারণ