মায়ের মৃত্যুর পর অপ্রকৃতিস্থ ছেলে, এক বছর ধরে বন্দি শিকলে

এই উপমহাদেশে কতই না আশ্চর্য ঘটনা ঘটে। ডাইনি ভেবে পিটিয়ে মারা, চোর সন্দেহে মেরে ফেলার ঘটনা নতুন নয়। মানুষ ধার ধারে না আইনি পদক্ষেপের। পাগল সন্দেহে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার ঘটনাও খুব একটা দুর্লভ নয়। তেমনই এক খবর জানা গেল সম্প্রতি, বাংলাদেশের আদিতমারি উপজেলায়।

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার শালমারি গ্রামে এক বছর ধরে বেঁধে রাখা হয়েছে আঠারো বছরের রানা ইসলামকে। রানার বাবা আবু হোসেন পেশায় একজন রিক্সা চালক। গ্রামবাসীদের দাবি, রানা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াত এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করত। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা হয়নি তার। এরপরই তাকে বাড়ির কাছে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছিল এক বছর।

এক বছর ধরে বন্দি থাকার ফলে মানসিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে রানার। ২০১২ সালে মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেছিল সে। কিন্তু অবস্থা এখন গুরুতর, তার মানসিক চিকিৎসার জন্য বর্তমানে যথেষ্ট টাকার প্রয়োজন। রানার চিকিৎসার দায়ভার নেওয়ার মত সামর্থ্য নেই তার বাবার।

পরিস্থিতি বিচার না করেই মানুষ বহুক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে যার পরবর্তী ফলাফল হয় গুরুতর। সঠিক চিকিৎসা না করে বেঁধে রেখে কোনো মানসিক রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। এখন দ্রুত টাকা জোগাড়ই লক্ষ্য রানার বাবার। চান, চিকিৎসা হোক ছেলের। বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাক সে।