সাল ১৮৫৫, এডওয়ার্ড ডায়ার নামক এক ব্রিটিশের ঘাড়ে এসে দায়িত্ব পড়ে অরুণাচলে একটি ব্রিওয়ারি তৈরি করার। কাজও শুরু হয় সেইমতোই। সেখান থেকেই পথচলা শুরু হয় লায়ন ব্র্যান্ড বিয়ারের। ধীরে ধীরে সময় যায়। লায়ন বিয়ার সিমলা, সোলান ও লক্ষ্ণৌ-এ কিছু শাখা খুলে বসে নিজেদের এবং যুগ্ম ব্যবসা শুরু করে আরেক ব্রিটিশ ব্রিওয়ারির সঙ্গে, নাম মিকিন অ্যান্ড কো।
এরপর ১৯৪৯ সালে যাত্রা শেষ হয় তাঁদের, স্বাধীনতার ঠিক দু’বছর পর এই কোম্পানি কিনে নেন এন এন মোহন এবং নাম বদলে গিয়ে দাঁড়ায় মোহন মিকিন ব্রিওয়ারিস্। জন্ম নেয় পৃথিবীর অন্যতম প্রিয় ডার্ক রাম ‘ওল্ড মঙ্ক’। সময় বদলায়, স্বাধীনতা পরবর্তী টালমাটাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ায় ওল্ড মঙ্ক। ব্যবসা বাড়তে থাকে দিকে দিকে। জনপ্রিয়তা পৌঁছায় তুঙ্গে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবটির নাম হয়ে যায় মোহন নগর।
ভাবলে অবাক হবেন ১৯৫৪-র ডিসেম্বরে লঞ্চ হওয়া এই ব্র্যান্ডটি আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞাপন করেনি। বরং প্রাইসিং-এ ছাপ ফেলেছে এই দূরদর্শিতা। ধীরে ধীরে যুবসমাজের কাছে আইকনিক হয়ে উঠেছে নানা নামে। কোথাও ‘বুড়ো সাধু’ কোথাও ‘বৃদ্ধ সন্ত’, টক্করে এখনও আসতে পারেনি আর কেউ। ধীরে ধীরে রামভক্ত করে তুলেছে কয়েক কোটি আস্তিক ও নাস্তিক মানুষকে। কেবল মুখের কথায় ছড়িয়ে পড়েছে নাম। সেনা থেকে সাংবাদিক কেউ বাকি নেই তাঁর ভক্তের তালিকায়। দেশের বাজারকে একচেটিয়া ডমিনেট করে গেছে বহুবছর।
২০১৪ সালে রাজত্বে ভাটা আসে খানিক। দেশি ও বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ে তাঁরা। বন্ধ হয়ে যায় ‘কমরেড’ নামক ফেসবুক কমিউনিটিটিও। এই ‘কমরেড’-এর সম্পূর্ণটা জানতে চান? কাউন্সিল অফ ওল্ড মঙ্ক রাম অ্যাডিক্টেড ড্রিঙ্কার্স অ্যান্ড এক্সেন্ট্রিকস।
ওল্ড মঙ্ক কেবল মদ বললে ভক্তরা জুতোপেটা করতে পারে আপনাকে। গোটা ভারতে এখনও তাকে এক বিশেষ অনুভূতি বলেই মানা হয়ে থাকে।