‘হামে বিমারি সে লড়না হ্যায়, বিমার সে নেহি’, করোনা ভাইরাসের সতর্কতায় এই কয়েকটি শব্দ এখন সমস্ত দেশের কাছে পরিচিত। কাউকে ফোন করলেই ওপার থেকে মানুষটি উত্তর দেওয়ার আগে বেজে ওঠে এই কলার টিউন। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমেও। কিন্তু এসবের মধ্যে সেই মানুষটির কথা কেউ হয়তো খেয়ালই করেননি, যাঁর কণ্ঠে প্রতি মুহূর্তে এই কঠিন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন ভারতবর্ষের মানুষ।
দিল্লি নিবাসী ভয়েস ওভার শিল্পী জ্যাসলিন ভাল্লা, বয়স প্রায় চল্লিশ। একজন ক্রীড়া সাংবাদিক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেও শেষ পর্যন্ত কণ্ঠ শিল্পকেই নিজের জীবিকা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন জ্যাসলিন। আর তারপর থেকে দিল্লি বিমানবন্দর, স্পাইস জেট ও ইন্ডিগো বিমান, পেটিএম, মেক মাই ট্রিপ প্রভৃতি নানা সংস্থার জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তবে করোনা সতর্কতার মতো বহুল প্রচারিত নয় কোনোটাই।
জ্যাসলিন অবশ্য জানিয়েছেন, হঠাৎ এক প্রোডিউসারের ফোন পেয়েই স্টুডিওতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এমনকি রেকর্ডিং-এর সময়েও তিনি জানতেন না, এই রেকর্ডিং কোথায় কাজে লাগবে। পরে ফোন করতে গিয়ে নিজের কণ্ঠ শুনতে পেয়ে তাই অবাকই হয়েছিলেন তিনি। তবে এরপর অবশ্য অনেকবার আইসিএমআরের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁকে রেকর্ডিং-এর বয়ান পরিবর্তন করতে হয়েছে। সেসব খুঁটিনাটি পরিবর্তন কি আদৌ মানুষ মন দিয়ে শোনেন? বরং ফোনের ওপারে এই একঘেয়ে স্বরে বেশ বিরক্তি হন অনেকেই। কিন্তু দেশের সমস্ত মানুষকে এই সংকটের দিনে সাহস যোগানোই তো আজ সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জের পিছনের মানুষ জ্যাসলিন অন্যান্য ভয়েস ওভার শিল্পীদের মতোই রয়ে গিয়েছেন অন্তরালে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
করোনায় আক্রান্ত পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি, সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন নিজেই