পাহাড়ের গায়ে আঁকা একটি ছবি। যেন ছেলেবেলার আঁকাবাঁকা হাতে কেউ আঁচড় কেটেছে। ছবিটা আর কিছু না, একটি বিড়ালের। কিন্তু তার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে হাজার দুয়েক বছরের ইতিহাস।হ্যাঁ, এমনটাই দেখা গেল পেরুর নাজকা লাইনের একটি পাহাড়ের গায়ে। প্রায় ২৭ মিটার লম্বা অতিকায় ছবিতে সেযুগের মানুষ এঁকেছিল একটি বিড়াল। আর সম্প্রতি একটি পাহাড় আরোহন প্রকল্পের সূত্রেই উঠে এল সেই ছবি।
সাহিত্যে, শিল্পে বা ভাস্কর্যে বিড়ালের উদাহরণ কম নয়। বহু প্রাচীন কাল থেকেই তার নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু সেই ইতিহাস যদি ২ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো হয়, তাহলে সত্যিই অবাক হতে হয়। তবে প্রত্নতাত্বিকদের প্রাথমিক অনুমান, ২০০ থেকে ১৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদই আঁকা হয়েছিল এই বিড়াল। তখন পেরুতে চলছে পারাকাস যুগ। পাহাড়ের গায়ে নানা ধরনের ছবি এঁকে রাখা ছিল এই সময়ের পেরুভিয়ানদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
নাজকা লাইনের একাধিক পাহাড়ে পারাকাস যুগের একাধিক শিল্পকর্মের নিদর্শন আগেই পাওয়া গিয়েছিল। আর ইউনেস্কোর তরফ থেকেও মিলেছিল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের সম্মান। তবে এই একটি পাহাড়ের গায়ে কোনো ছবি আগে দেখা যায়নি। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, পাহাড়ের খাড়া ঢালে ক্ষয় বেশি হওয়ায় সেই ছবি প্রায় অস্পষ্ট হয়ে পড়েছিল। তাছাড়া পাহাড়ে ওঠার কোনো সরল রাস্তাও ছিল না। আর তাই অগোচরেই থেকে গিয়েছে ইতিহাস।
Powered by Froala Editor