১৭ বছরেই জিতেছিলেন উইম্বলডন, অবসর নিলেন ‘টেনিস সুন্দরী’ মারিয়া শারাপোভা

একটা সময় টেনিস কোর্ট কাঁপিয়েছেন তিনি। সেরেনা উইলিয়ামস, ভেনাস উইলিয়ামসের যুগে অন্যতম প্রতিভা হয়ে উঠে এসেছিল তাঁর নাম। নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ও সেই সেরেনাকে হারিয়েই। সাফল্যের পাশে বিতর্কও উঠেছে জীবনে। টেনিসই ছিল তাঁর আশ্রয়। এবার পেশাদার টেনিসকে বিদায় জানালেন রাশিয়ার টেনিস সুপারস্টার মারিয়া শারাপোভা। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে ছিল টেনিস সঙ্গে পথ চলার শুরুর দিকের একটি ছবি।

২০০৪ সাল। মেয়েদের উইম্বলডনের ফাইনালে সেরেনা উইলিয়ামসের উল্টোদিকে ছিল বছর সতেরোর একটি লম্বা মেয়ে। আনকোরা মেয়েটি কেমনভাবে হারাবে সেরেনা’র মতো প্লেয়ারকে? অনেকেই ভেবেছিলেন এই কথা। কিন্তু খেলায় প্রেডিকশন বলে বোধহয় কিছু হয় না। ২০০৪-এর উইম্বলডন দেখেছিল সেরেনা’র হার। উঠে এসেছিল নতুন একটি নাম, মারিয়া শারাপোভা। সেখান থেকেই উত্থানের শুরু। ৬ ফুট ২ ইঞ্চির সুন্দরী মেয়েটা এর দুই বছর পরেই জেতেন আরও একটা মেজর, ইউএস ওপেন। তারও দুই বছর পর, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। সাফল্য যেন পরপর আসছিল র্যা কেট দিয়ে। ডব্লিউটিএ ট্যুর চ্যাম্পিয়নশিপেও জেতেন তিনি। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর এই টেনিস তারকা ২০১২-এর লন্ডন অলিম্পিকে রুপোর পদকও পান।

আরও পড়ুন
৮ বছর বয়সে হাত খুইয়েও ছাড়েননি খেলা, রাজ্যের অধিনায়কও হয়েছেন এই ক্রিকেটার

সবই চলছিল, কিন্তু কেরিয়ার গ্রাফ সেরা উচ্চতা ছুঁল না। একটা কারণ অবশ্যই সেরেনা উইলিয়ামসের প্রবলভাবে কোর্টে ফিরে আসা এবং নিজেকে প্রায় অপ্রতিরোধ্য করে তোলা। এছাড়াও চোট আঘাত লেগেই থাকত মাশা’র। তবে শেষের শুরু হয় ২০১৬ সালে। ডোপিংয়ের জন্য ১৫ মাসের নির্বাসনে চলে যান শারাপোভা। তারপরেও ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন। প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই ধার আর যেন আসেনি।

তিনি ছিলেন টেনিস জগতের ‘বিউটি কুইন’। যখনই খেলতে নামতেন, তিনিই ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রে। ব্র্যান্ড থেকে মডেলিং— সব জায়গায় মাশা ছিলেন উজ্জ্বল মুখ। কিন্তু টেনিসটাই যে সব! তাকেই ‘গুডবাই’ জানালেন তিনি। তবে এও জানিয়েছেন, র্যা কেট নামিয়ে রাখা মানে চিরকালের জন্য নামানো নয়। টেনিসের কোর্টই তাঁকে বড়ো করেছে। অবসর নিলেও, টেনিসের সঙ্গে থাকবেন সবসময়। আমাদেরও সেটাই আশা। টেনিসের মুহূর্তগুলির জন্য অনেক ধন্যবাদ, মাশা!

Latest News See More