যার জন্য গরমের তীব্রতাকেও উপেক্ষা করে থাকে বাঙালি, সেই আম এবার বাঙালির পাত থেকে নিশ্চিহ্ন হবার জোগাড়। হ্যাঁ ভিলেন অবশ্যই আমফান। মালদহেও এর প্রভাব কম নয়। এক দুঃস্বপ্নের ঝড়ে ধুলোয় মিশে গেছে অসংখ্য চাষির সারা বছরের রোজগার। বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন আম চাষিরা।
আনুমানিক ৩০ হাজার মেট্রিক টন আম কয়েক ঘন্টার তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ-বছর আমের ফলনও যথেষ্ট আশাপ্রদ ছিল। তা নিয়ে খুশি ছিলেন চাষি থেকে মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট এসোসিয়েশন সবাই। কিন্তু প্রকৃতির ভয়াবহতা কেড়ে নিল সব। প্রায় কয়েক কোটি টাকার কাছাকাছি ক্ষতির পরিমাণ। সংশ্লিষ্ট দফতরের এক কর্তার মতে, আম উৎপাদনের এক বিপুল ক্ষতির মুখে দাঁড় করাল আমফান। যেখানে উৎপাদনের সম্ভাবনা ছিল ২.৫ লক্ষ মেট্রিক টন, সেখানে এবছর ২ লক্ষ মেট্রিক টনের কাছাকাছি উৎপাদনে এসে ঠেকবে।
বিপর্যয়ের প্রধান কারণ অবশ্যই দমকা হাওয়া। যত দূর চোখ যায়, ক্ষতির চিহ্ন বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জমিগুলি। আম ছাড়াও লিচু ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমাণ হয়তো এখনো পরিমাপ করা যায়নি। একে লকডাউন পরিস্থিতি, তারপর ঝড়ের করাল গ্রাসে কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে চারিদিক। ভাঙা গাছের নিচে কাঁচা বাড়ি, দেওয়াল, অজস্র ভাঙা পাখির বাসা, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা, সড়ক পরিবহনের ভগ্নদশা - সব মিলিয়ে আমের দেশ মালদহ একপ্রকার ক্ষতবিক্ষত।