মাত্র ৪ দিনে মাউন্ট এভারেস্টের বেসক্যাম্পে (Everest Base Camp) পৌঁছে রেকর্ড গড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের পর্বতারোহী এসভিএন সুরেশ বাবু। তাঁর আগে কোনো ভারতীয় পর্বতারোহী তো নয়ই, কোনো একক অভিযাত্রীই এত কম সময়ে এভারেস্টের বেসক্যাম্পে পৌঁছাতে পারেননি। আসলে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতেই চেয়েছিলেন তিনি। তাই যে দূরত্ব অতিক্রম করতে পর্বতারোহীদের সাধারণত ১০-১৫ দিন সময় লাগে, সুরেশ বাবুর (Suresh Babu) লেগেছে মাত্র ৪ দিন। হিমালয়ের বুকে যখন শীতের দাপট চলছিল, দিনের বেলাতেও উষ্ণতা নেমে যাচ্ছিল হিমাঙ্কের নিচে, তখনও বিশ্রাম নেওয়ার কথা ভাবেননি তিনি। নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন রেকর্ডজয়ের লক্ষ্যে।
বিশাখাপত্তনম শহরের বাসিন্দা সুরেশ বাবু। গত ডিসেম্বরে বিশাখাপত্তনম থেকে দিল্লি হয়ে কাঠমাণ্ডু পৌঁছান তিনি। ২০ ডিসেম্বর নেপালের লুকলা শহর থেকে শুরু হয় তাঁর অভিযান। সঙ্গে সমস্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিলই। কোনো সঙ্গী বা শেরপাকে সঙ্গে না নিয়েই রওয়ানা হয়েছিলেন তিনি। কাজেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু তারপরেও গোটা যাত্রা সহজ ছিল না। তাছাড়া দ্রুত বেসক্যাম্পে পৌঁছানোর তাগিদ তো ছিলই। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা করে হেঁটেছেন তিনি। সূর্যের আলোর সামান্য চিহ্নও যতক্ষণ থেকেছে, তিনি হাঁটা থামাননি। অবশ্য রাতের অন্ধকারে পর্বতারোহণ তো সম্ভব নয়। তাই তখন বাধ্য হয়েই বিশ্রাম নিতে হয়েছে তাঁকে।
এভারেস্টের বেসক্যাম্পের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৩৬৭ মিটার। ২০ ডিসেম্বর রওয়ানা হয়ে ২৪ ডিসেম্বরই সুরেশ পৌঁছে যান সেখানে। তবে তখনই অন্য কোথাও খবর পাঠাতে নিষেধ করেন সুরেশ। এভারেস্ট জয় করে ফিরে আসতেও বেশি সময় নেননি সুরেশ। ১ জানুয়ারি, নতুন বছরের সকালে এসে পৌঁছান কাঠমাণ্ডু শহরে। এত দ্রুত এভারেস্ট জয় অবাক করেছে সকলকেই। ইতিমধ্যে নেপাল সরকার তাঁকে সংবর্ধনা জানিয়েছেন। অ্যাকিউট অ্যাডভেঞ্চার ইনস্টিটিউট থেকে শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অবশেষে আবার ফিরে এসেছেন বিশাখাপত্তনম শহরে। সুরেশের এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকেও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নয় মাউন্ট এভারেস্ট? রয়েছে আরও দুই দাবিদার