‘না-মানুষ’ হতে চেয়ে ভোল পাল্টেছেন ‘ব্ল্যাক ডিপ্রেশন’

সারা মুখ জুড়ে অজস্র কাটাকুটি দাগ। ঠিক যেন পাজল খেলার টুকরোগুলো জুড়ে জুড়ে কেউ তৈরি করেছে এই মুখ। সেইসব টুকরোও নানা রঙের। শুধু যে মুখেই কাটাকুটি দাগ, তা নয়। মানুষটার চোখ, কান, নাক কোনোকিছুই ঠিক মানুষের মতো নয়। মুখ খুললে দেখা যায়, তার মধ্যে একটা নয়, পাশাপাশি দুটি জিভ রয়েছে। দেখে যেন মানুষ মনে হয় না কোনোভাবেই। আর সেটাই চান এই ব্যক্তি। মানুষের চেয়ে যতটা আলাদা হওয়া সম্ভব, ততটাই আলাদা হতে চান তিনি। আর এভাবেই ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন জার্মানির এই ২৮ বছরের যুবক। সামাজিক মাধ্যমে যাঁর নাম ‘ব্ল্যাক ডিপ্রেশন’ (Black Dwepression)। তবে শারীরিক গঠনের এই পরিবর্তন (Body Modification) ঘটানোর জন্য অবশ্য কম খরচ করতে হয়নি তাঁকে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২৫০০ ইউরো অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছেন তিনি।

শুরুটা হয়েছিল ৮ বছর আগে। নিতান্ত শখের বশেই নিজের জিভ দুভাগ করেছিলেন এই যুবক। তারপর অনেকেই বলেছিলেন, দুটি জিভ নিয়ে তাঁকে একেবারেই মানুষের মতো দেখতে লাগছে না আর। আর এই কথাটাই পছন্দ হয়ে যায় সেই যুবকের। তারপর একে একে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন করাতে থাকেন তিনি। নিজের আসল দাঁতের জায়গায় দুই পাটিতে বসিয়েছেন টাইটানিয়ামের দাঁত। এমনকি চোখের রংও বদলে ফেলেছেন। চোখের তারায় ট্যাটু করিয়েছেন। তারপরও সাদা অংশটা থাকার কারণে মানুষের চোখের মতোই লাগছিল। তাই সেই অংশে ঘন কালো রং করিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া শরীরজুড়ে অসংখ্য ট্যাটু এবং পিয়ার্সিং তো রয়েছেই। কান এবং নাকে পিয়ার্সিং করিয়ে আয়তনও বাড়িয়ে নিয়েছেন।

নিজের শরীরের রূপান্তরের পাশাপাশি অন্যান্যদের শরীরেও অস্ত্রপচার করেন ‘ব্ল্যাক ডিপ্রেশন’। সবচেয়ে বড়ো কথা, ফ্যাশনে গা না ভাসিয়ে তিনি সবসময় নিজের মতো পদ্ধতি খুঁজতে থাকেন। এমন এমন পরিকল্পনা নিতে থাকেন, যাতে আর তাঁকে একেবারেই মানুষ বলে চেনা না যায়। এখনও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন তিনি। এরপর শরীরে আরও কত ধরনের পরিবর্তন করবেন তিনি, সেটাই জানতে চান নেটিজেনরা।

Powered by Froala Editor