নায়ক হতে গেলে যুদ্ধে যেতে হয় না, দরকার পড়ে না অস্ত্রেরও। সত্যিকারের নায়ক হতে গেলে লাগে সাহস, আর পৃথিবীকে ভালোবাসার এক অদম্য ইচ্ছে। নিজের কর্তব্যের প্রতি সৎ থেকেও নায়ক হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। ডিম্বেশ্বর দাস হলেন তেমনই একজন নায়ক, যিনি এ বছর আরবিএস(রয়্যাল ব্যাঙ্ক অফ স্কটল্যান্ড) ‘আর্থ হিরোস’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন।
ডিম্বেশ্বর পেশায় আসাম বন দপ্তরের একজন নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু তাঁর বড় মনের কাছে হার মানবে অনেকেই। নিজের পেশাকে ভালোবেসে তিনি জয় করে ফেলেছেন বহু মানুষের মন। গত তিরিশ বছর ধরে বিপন্ন প্রজাতির একশৃঙ্গ গণ্ডার সংরক্ষণে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। সে-কারণেই রয়্যাল ব্যাঙ্ক অফ স্কটল্যান্ড তাঁর কাজকে সম্মান জানিয়ে এই পুরস্কারে তাঁকে ভূষিত করেছেন।
শিকারীদের হাত থেকে একশৃঙ্গ গন্ডারকে বাঁচাতে তিনি নিজের জীবনকে বহুবার বিপদের মুখে ফেলেছেন। এমনকি বন্য মোষ, চিতার হাত থেকেও তিনি নিস্তার পাননি। কিন্তু থেমে থাকেনি তাঁর লড়াই। জাতীয় পশু উদ্যানকে বাঁচাতে তিনি বিশেষ ইন্টালিজেন্স ও কমিউনিটিকে শিকারীদের সন্ধান দিতে সাহায্য করেছেন। ফলে প্রাণ বেঁচেছে বহু একশৃঙ্গ গণ্ডারের। তাঁর এই লড়াইয়ের কথা চাপা থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে।
আসামের বনদপ্তরের মন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সম্প্রতি বন্যায় ভেসে গিয়েছিল কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানটি। সঙ্গে ছিল শিকারিদের শাসানি, ভয় দেখানো। কিন্তু নিজের সাহসে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে। পৃথিবীকে রক্ষা করতে ডিম্বেশ্বরের মত মানুষ আগামী দিনের সম্পদ।