দাবি চামড়ার লোভে বিষ প্রয়োগে চিতাবাঘ হত্যা ছত্তিসগড়ে

গায়ের চামড়া লোভনীয়। আর সেইজন্যই একটি আস্ত চিতাবাঘকে বিষ খাইয়ে হত্যা করল এক ব্যক্তি! কারণ, স্রেফ একটু বেশি টাকা রোজগারের জন্য! এমনই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল ছত্তিসগড়। সেই ছত্তিসগড়, যেখানে মাত্র এক সপ্তাহে পাঁচ পাঁচটি হাতির মৃত্যু হয়েছে…

লকডাউনের মধ্যেই বন্যপ্রাণীরা আনন্দে মেতেছে, পরিবেশ শুদ্ধ হচ্ছে এমন খবর আমরা দেখেছি আগেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বারবার সাবধান করেছিলেন চোরাশিকারের ব্যাপারে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অনেক জায়গাতেই চোরাশিকারের ঘটনা বেড়েছে এই কয়েক মাসে। আর তাতে প্রাণ হারিয়েছে প্রাণীরা। ছত্তিসগড়েও সেরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে। যেখানে বছর পঞ্চান্ন-এর এক ব্যক্তি, রামনাথ নেতাম এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। চিতাবাঘের চামড়া বিক্রি করলে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা আসবে, এই লোভেই জলের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দেন তিনি। সেই জল খেয়েই মারা যায় একটি চিতাবাঘ। 

পরে সেই মৃত চিতাবাঘের চামড়া বের করে রীতিমতো রোদে শুকোতেও দিয়েছিলেন তিনি। যাতে কেউ ধরতে না পারে, সেজন্য সমস্ত প্রমাণ, চিতাবাঘের দেহের বাকি অংশ সরিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকতে পারেননি। খদ্দেরের প্রলোভন দেখিয়েই তাঁকে গ্রেফতার করে গারিয়াবাদ থানার পুলিশ। কিন্তু ছত্তিসগড়ে ঘটে যাওয়া পরপর এমন ঘটনাই চিন্তায় পড়েছে বন দফতরকে। চোরাশিকারের রমরমা যে ভালোরকম বেড়ে গেছে, সেই কথা স্বীকারই করে নিয়েছেন তাঁরা। সমস্ত কিছু দমন করার জন্য ব্যবস্থাও নিচ্ছেন। 

কিন্তু দিনের শেষে প্রশ্ন উঠছে আমাদের মানসিকতা নিয়ে। স্রেফ কটা টাকার জন্য, লোভের বশে আর কত বন্যপ্রাণীকে নিজের জীবন খোয়াতে হবে? বন জঙ্গলও ধ্বংস করা হচ্ছে। পরিবেশবিদদের লাগাতার আন্দোলন, পদক্ষেপ সত্তেও কোথাও কিছুই হচ্ছে না। এরকম ভাবে চললে আমাদের দাঁড়ানোর যে জায়গাটুকুও থাকবে না, সেটাও বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে সব মহল থেকে। 

আরও পড়ুন
লকডাউনে দেশজুড়ে চোরাশিকার বেড়েছে ৫১ শতাংশ, কমেছে পশুপাচার

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
ভাগ্য বদলাবে জ্যাকেল হর্ন! ‘শিং’-এর লোভে চোরাশিকারিদের হাতে মৃত্যু অজস্র শিয়ালের