সদ্য নতুন বাসায় এসে উঠেছেন উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার এক দম্পতি। কিন্তু সেই বাসার নিচেই যে লুকিয়ে আছে উনিশ শতকের ইতিহাস, তার খবর রাখেননি কেউই। হঠাৎ সন্ধান মিলল সেই ইতিহাসের। কিন্তু যে মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে মিলল, তাতে উৎসাহের থেকে আতঙ্কের পরিমাণটাই বেশি।
গিলফোর্ড পুলিশ বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৮৪৩ সাল নাগাদ তৈরি হয়েছিল বাড়িটি। সম্ভবত সেই সময়েই বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে ছিল একটি কুয়ো। যদিও পরবর্তীকালে তার সন্ধান আর রাখা হয়নি। কোনো এক সময় কুয়োর উপরেই আবার ঘর তোলা হয়। কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো কিছুই ব্যবহার করা হয়নি। শুধু কিছু কাঠের পাটাতন দিয়ে কুয়োটি ঢেকে ফেলা হয়েছিল। আর তার ফলেই ঘটল বিপদ।
ডা. ক্রিস্টোফার টাউন এবং তাঁর স্ত্রী যখন নতুন ঘর গোছাতে ব্যস্ত, তখনই হঠাৎ কাঠের মেঝের উপর কেমন শব্দ হতে শুরু করে। বিষয়টা কী? একটু ঝুঁকে তার হদিশ করতে গিয়েই কাঠের পাটাতন ভেঙে কুয়োর মধ্যে পড়ে গেলেন ডা. টাউন। পড়লেন সোজা প্রায় ২৫ ফুট গভীরে। মাথা পর্যন্ত ডুবে গেল হিমশীতল জলের মধ্যে। অবশ্য তাঁর স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা অফিসে যোগাযোগ করতে দেরি করেননি। মিনিট কুড়ির মধ্যেই দপ্তরের কর্মচারীরা এসে পড়েন। এবং লাইফ জ্যাকেট ও দড়ির সাহায্যে শেষ পর্যন্ত সুস্থ অবস্থাতেই টেনে তোলা হয় ডা. টাউনকে।
এর জন্য অবশ্য কর্মচারীদের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন ডা. টাউন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, আর কিছুক্ষণ ওই ঠান্ডা জলের মধ্যে থাকলে হয়তো তিনি মারাই যেতেন। এমনকি ওইটুকু সময়ের মধ্যেই তাঁর জ্বর আসতে শুরু করে দিয়েছিল। ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছে গিলফোর্ড পুলিশ বিভাগ। সেইসঙ্গে সমস্ত পুরনো বাড়ির বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অনেক বাড়িতেই এমন লুকোনো কাঠামো থাকে, যার খবর হয়তো এখন আর কেউই রাখেন না।
Powered by Froala Editor