সমাধির নিচে শায়িত মানুষের দেহ। কেউ প্রয়াত হয়েছেন সদ্য, কেউ আবার ১০০ বছর বা তারও বেশি সময় আগে। পৃথিবীর বুকে তাঁদের অনেক স্মৃতিই মুছে গিয়েছে। থেকে গেছে শুধু সমাধির উপরের ফলকটুকু। কিন্তু তার উপরেও তো সময়ের ছাপ পড়ে। পাথরের উপরের লেখাকে ঢেকে দেয় ময়লার আস্তরণ। তার উপর শ্যাওলা, ফার্ন জন্মাতে থাকে। পরিবারের মানুষরাও অনেক সময় সেদিকে তাকানোর অবকাশ পান না। তবে একটু চেষ্টা করলেই এই স্মৃতিটুকু বাঁচিয়ে রাখা যায়। আর সেই চেষ্টাই করছেন ইংল্যান্ডের এই ব্যক্তি।
৩৭ বছরের র্যা ন ভ্যান এমিনিস একটি ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট কোম্পানির মালিক। নানাধরনের ময়লা পরিষ্কারের জন্য বিশেষ বিশেষ রাসায়নিক প্রস্তুত করেন তিনি। তবে লকডাউনের জন্য তাঁর ব্যবসা এখন বন্ধ। এরপর হয়তো আর পুরনো স্টকের জিনিস কোনো কাজে লাগবে না। কারণ ততদিনে তার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। তবে এমিনিস সেসব দ্রব্য ব্যবহারের অন্য পন্থা বেছে নিলেন। তিনি আশেপাশের বিভিন্ন সমাধিক্ষেত্রে গিয়ে সেখানকার ফলক পরিষ্কার করতে শুরু করেছেন।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন বিকেলে হাঁটতে বের হন এমিনিস। সঙ্গে থাকে তাঁর দুই সন্তান। ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গে থাকে সাবানজল, আর এমিনিস সঙ্গে নেন তাঁর রাসায়নিক পদার্থ। এভাবেই কয়েক শ' সমাধি ফলক পরিষ্কার করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। এবং ভবিষ্যতে বিনা খরচে সেসব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এভাবেই হয়তো অনেক স্মৃতিকে হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করলেন তিনি।