প্রতিদিন দুজনে আসেন বেড়ার ধারে। কাঁটাতার, সীমান্ত, দেশ তাঁদের আলাদা করে রেখেছে। কিন্তু প্রেম কবেই বা এতসব মেনেছে! যুদ্ধের ময়দানও সাক্ষী থেকেছে যার, সেই প্রেম বাঁধ মানেনি মহামারীরও। বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ; তবুও ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক, আজ বসন্ত’! ডেনমার্ক, জার্মানির বাসিন্দারা কি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের এই পঙক্তিটি জানেন? না জানলে একবার দুই দেশের সীমানায় ঘুরেই আসতে পারেন। এক বৃদ্ধ, এবং এক বৃদ্ধা একান্ত নিরালায় বসে। বেড়ার বিচ্ছেদ আছে; কিন্তু মনের আছে কি?
আরও পড়ুন
স্প্যানিশ ফ্লু কিংবা বিশ্বযুদ্ধে কাবু হননি, করোনাকেও হারিয়ে দিলেন ১০১ বছরের বৃদ্ধ
ডেনমার্কের ইঙ্গা রাসমুসেন এবং জার্মানির কারস্টেন হানসেন। প্রথমজনের বয়স ৮৫, অন্য জনের ৮৯। কবে দুজনের আলাপ, কী বৃত্তান্ত কিচ্ছুটি বলেন না। শুধু সময় হলেই দুই দেশের সীমান্তে চলে আসেন দুজনে। থাকে দুটো চেয়ার। সেখানে বসে একে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকা। মাঝে মাঝে গল্প, আড্ডা। সঙ্গে থাকে নানা পানীয়, খাবার। বিগত দুই সপ্তাহ ধরে এই রুটিনই চলছে সেখানে। আর কেউ নেই চারদিকে; শুধু প্রকৃতি, খোলা আকাশ, ইঙ্গা আর কারস্টেন। মাঝখানে সিমেন্টের সীমানা…
আরও পড়ুন
সমস্ত ব্যঙ্গ উড়িয়ে, ৫০০টি নিরন্ন পরিবারকে খাবার যোগালেন হিরো আলম
এই মুহূর্তে পৃথিবীতে চলছে দুর্যোগ। করোনার জন্য সকলেই গৃহবন্দি। রাস্তায় ঘোরা, এমনকি প্রিয় মানুষটির সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হওয়াও বারণ। কিন্তু বাধা যে মানে না! যেমন মানেননি ইঙ্গা-মারস্টেন। দুঃসময় এভাবেই বোধহয় ভালোবাসা তৈরি হয়। হাহাকারের মধ্যেও ফুটে থাকে কিছু গোলাপ। যা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, অন্তত বাঁচার স্বপ্নটুকু দেখায়। গ্যাব্রিয়েল মার্কেজের বইয়ের শিরোনাম ধার করে বলাই যায় ‘লাভ ইন দ্য টাইম অফ করোনা’…