ইশতেহার

(দ্বিতীয় পর্ব)

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স এবং পিজি-র সেমেস্টার পরীক্ষা এসে যাওয়ায় - মিটিং করা, প্রশ্ন তৈরি, মডারেশন, অনলাইন পরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করা - ইত্যাদি নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম যে প্রায় মাস খানেক অফিসিয়াল কাজকর্ম থেকে মাথা তুলতে পারিনি। অবশ্য এর মধ্যে একটা দিন মামার বাড়ি থেকে ঘুরে এলাম। একলখির শাচান পিরের থান নিয়ে অনুসন্ধান করে একটা লেখাও তৈরি করলাম। আর এই করতে করতেই খোকার ব্যাপারটা আমার মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।

সেদিন ছিল আঠাশে ফেব্রুয়ারি। আমি কলকাতায় ছিলাম। রবিবার, সংযুক্ত মোর্চার আহ্বানে ব্রিগেডে জনসভা। সকাল থেকে ডিজে চালিয়ে টুম্পা সোনা গানের রিমিক্স-এ মাতোয়ারা ব্রিগেডমুখী জনতার মিছিল। লাল আবির আর পতাকায় রাজপথে যেন অকাল দোল উৎসব চলছে। ফেসবুক খুললেই টুম্পা সোনাকে নিয়ে ব্রিগেড যাওযার সুর, সভায় প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বাঁধভাঙা ভিড় আর আব্বাস সিদ্দিকির নিয়ন্ত্রিত ভাষণ নিয়ে উচ্ছ্বাসের ঢেউ। সারাদিন ঘরবন্দি থাকার পর একটু রাত করে দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত শপিং মলে বিচরণ করছি। এমন সময় রাজেশের ফোন, - হ্যালো কাকা? বোবাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুরো পাগলা হয়ে গেইল, কোথায় পালিয়ে গেচে।
বললাম, - ঠিক আছে শোন, আমি বাইরে আছি, রাতে ফোন করছি।

রাতে ফিরে দাদাকে ফোন করলাম। দাদাও একই কথা বলল, - কদিন পাগলামি খুব বেড়ে গিয়েছিল, চার পাঁচ দিন আগে পাটি অফিসে গিয়ে কীসব ঝামেলা করেছিল, পাটির লোক ওখানে আটকে রেখেছিল। ওর বউ গিয়ে ঘর নিয়ে আসে। তারপর ঘর থেকে তিন-চার দিন বাইরে বেরোতে দেয়নি। আজ ভোর বেলা উঠে পায়খানা করতে যাচ্ছি বলে আর ফেরেনি।
- থানায় জিডি করিয়েছে? জানিস কিছু?
- বুঝলি, থানায় গিয়েছিল কিন্তু পুলিশ ডায়রি বোধহয় নেয়নি। বলেছে, আগে সব আত্মীয়-কুটুমবাড়ি, আর যেখানে যেখানে যেতে পারে, খুঁজে দেখুন, তারপরে ডায়রি করতে আসবেন। কাল সব খুঁজতে বেরোবে।
টুম্পাকে নিয়ে ব্রিগেড যাওযা গানের তালে কদিন মজে ছিলাম, সেই সুর-তাল একেবারে চটকে গেল।

সোমবার, পয়লা মার্চ, বর্ধমানে ফিরলাম। সারাদিন কাজের মাঝে রাজেশকে কয়েকবার ফোন করে খোঁজ নিলাম। কোথাও পাওয়া যায়নি। বাঁকুড়ায় দেশের বাড়িতে যায়নি, অন্য কোনো আত্মীয় বাড়িতেও নয়।
জিজ্ঞেস করলাম, - রাজেশ, কাল তো কলকাতায় সিপিএমের ব্রিগেড মিটিং ছিল, সেখানে যায়নি তো? খোঁজ করে দেখেছিস?
- কাকা, তুমি খেপেছ? বোবা জীবনে কোনওদিন বদ্দমানেই যায়নি, আর কলকাতা?
- না রে, পার্টি থেকে নিশ্চয় গ্রামের কেউ কেউ গিয়েছিল। ওদের জিজ্ঞাসা করেছিস?
- মজু-কাকারা অনেকজন গিয়েছিল। ওদের সঙ্গে তো কই যায়নি বলচে। কেউ ওকে দেখেইনি। ভোরবেলা যে বাসগুলো বদ্দমান যায় - একলক্ষী, বামনে, কাইতি, সাসপুর, বঁয়চন্ডী সব বাসের কনটাকটরদের জিজ্ঞেস করেচি, কেউ দেখেনি।
- তাই তো রে, তাহলে কোথায় গেল?
- কাকা, বলছি শোনো না, তুমি চলে এসো। থানায় ডায়রি করতে হবে। তুমি না থাকলে হয় না কি?
- আজ নয়, আমি কাল যাব, ঠিক আছে? কাল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর। এর মধ্যে যদি ফিরে আসে।

সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে অনেক ভাবলাম। সত্যিই তো, কোথায় যেতে পারে খোকা? আমার কেমন যেন মনে হল, ও কলকাতাই গেছে এবং ব্রিগেডের সভায়। একথা মনে হতেই ফেসবুক স্ক্রল করতে লাগলাম। আজ সকালেই কার যেন নিউজফিডে পড়ছিলাম, একটা ছোট্টো খবর, মোর্চার ব্রিগেডে গিয়ে দুজন মানুষ নিখোঁজ। আমি স্ক্রল করতেই থাকলাম, সেই পোষ্ট আর দ্বিতীয়বার সামনে এল না। আমার এক পরিচিত কমরেড বন্ধুকে ফোন করলাম। সে অনেক খুজেঁ পেতে আমাকে বলল, একজনকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাঁর নাম দীপক পাঁজা, তিনি বর্ধমানের লোক নন। আমি এটুকু নিশ্চিত হলাম যে নিখোঁজ মানুষটি আর যেই বা হোক, সেটা খোকা নয়। 

পরদিন সকালে গ্রামে পৌঁছতেই পাড়ার ছেলেরা আমার বাড়িতে হাজির। বললাম, সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছিস তো? 

সম্ভাবনা থাকতে পারে, এমন কোনো জায়গাই ওদের খুঁজতে বাকি নাই। আমি হতাশ হয়ে বললাম, - ঠিক আছে, থানায় গেলে বোবার বউকে তো লাগবে। আমি একটু কথা বলে আসি।

# # #

গিয়ে দেখি, দাওয়ার একপাশে মথুরকাকা মাথায় দুই হাত ঠেকিয়ে, দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছে। বউমা ভাত বেড়ে অসুস্থ শাশুড়ি মা-কে খাইয়ে দিচ্ছে। সদ্য স্নান করে এসেছে। সিঁথিতে টকটকে লাল সিঁদুর। আমাকে দেখে বউমা ঘোমটা টেনে নিল।
-  বউমা, তোমার কী মনে হচ্ছে, খোকা কোথায় যেতে পারে?
বউমা ওর গভীর দুই চোখের দৃষ্টি আমার মুখের উপর রেখে বলল, - ও ফিরে আসবে দাদা, আপনি চিন্তা করবেন না।
-  কোথায় গেছে, তুমি কিছু আন্দাজ করতে পেরেছে?

বউমা মাথা নেড়ে জানাল ওর কোনো ধারণা নেই। বলল, লাস্ট ছ-সাত দিন বড্ড অস্থির হইছিল। আমি বুঝেছিনু ওকে ধরে রাখতে পারব না। কিন্তু...
- কিন্তু কী?
- ও যে ফিরে আসবে, আমি ঠিক জানি।
এমন গভীর প্রত্যয়, এমন দুর্বার প্রত্যাশা, এমন অনমনীয় দৃঢ়চিত্ত নারীর সামনে দাঁড়িয়ে আমার নিজেকে খুবই অকিঞ্চিৎকর বলে মনে হল। চুপি চুপি জিজ্ঞেস করলাম, - আগে কখনও কি এমন হয়েছে, তোমার উপর রাগ করে খোকা কোথাও চলে গেছে?

মুহূর্তে আমার চোখে ইস্পাতকঠিন দৃষ্টি রেখে বউমা বলল, - কখখনো না। আমি ছাড়া এ পিথিবিতে ওর আর কেউ নেই। আমাকে ছেড়ে একটা রাতও ও বাইরে থাকতে পারে না।
- থানায় ডায়রি করতে গেলে তোমাকে তো একবার যেতে হবে বউমা।
- আমি থানায় যাব না। ও যেখানেই থাকুক, আজকেই ফিরে আসবে। আপনি আর এত চিন্তা করবেন না দাদা।

এ মেয়ের সামনে আর কোনো কথা বলার জোর আমার নেই। ফিরে আসার আগে বললাম, - তোমার কথাই যেন সত্যি হয় বউমা।
- ও ফিরে এলেই আপনাকে জানিয়ে দেব।

চলে আসার জন্য আমি পিছন ফিরছি, এমন সময় করুণ স্বরে বলে উঠল, - পরে একদিন আসুন দাদা, ও আপনাকে খুব ভালোবাসে।

একটু আশাহত হয়েই বর্ধমানে ফিরে এলাম। মনটা ভারি হয়ে আছে। আবারও আমি আমার সেই কমরেড বন্ধুটিকে ফোন করে বললাম, ঠিকানা পরিচয়হীন বোবা-কালা কোনো মানুষ যদি ওদের নজরে আসে, আমাকে যেন খবর দেয়। 

দুদিন পরেই অনলাইন পরীক্ষা শুরু। প্রশ্নগুলো ল্যাপটপে আর একবার চেক করতে হবে। কোনো প্রশ্নের ফাইনাল প্রুফে বা মেল আইডি-তে কোনো ভুল আছে কি না - শিওর হতে হবে। ল্যাপটপ খুলে বসলাম বটে, কিন্তু কিছুতেই আর কনসেনট্রেট করতে পারলাম না। স্ক্রিনের দিকে তাকালেই সেই গভীর প্রত্যয়ভরা একজোড়া চোখের ইস্পাতকঠিন দৃষ্টি আমার সামনে যেন ভেসে উঠছে। ল্যাপটপ বন্ধ করে আবার উঠে পড়লাম। 

বাইরে এসে দেখি রোদ ঢলে পড়েছে তারাবাগের অগণিত শিরীষ আর মেহগনির ডাল পাতার ফাঁক দিয়ে। বসন্তের এই বিকেলকে এখন আমার মোহময়ী লাগছে। দূর থেকে ভেসে আসছে কোকিলের কুহু স্বর। অদূরে একটা দোয়েল একটানা পাগলের মতো শিস দিয়েই চলেছে। বারান্দার রেলিঙে কলকল করছে ছাতারের দল। মাথার উপর দিয়ে একঝাঁক টিয়াপাখি উড়ে আমার বাসার ছাত লাগোয়া পলাশের ডালে এসে বসল। তাকিয়ে দেখি গাছটার সমস্ত ডাল পালা প্রগাঢ় শ্যামল থোকা-থোকা পলাশের কুঁড়িতে ছেয়ে গেছে। আর কদিনের মধ্যেই সারা আকাশ লালে লাল হয়ে যাবে। সেই আগুনরঙা স্বপ্ন নিয়ে আমি যেই আকাশের দিকে তাকিয়েছি, ঠিক তক্ষুনি আমার ফোন বেজে উঠল, - হ্যালো কাকা, বোবা ফিরে এসেছে।

# # #

কী এক রাগ অথবা অভিমান থেকে উনিশের লোকসভা ভোট আমি দিতে যাইনি। এ বছর ঠিক করেছিলাম, বিধানসভা ভোট দেবই। দাদাকে বলে রেখেছিলাম, সতেরোই এপ্রিল - যাচ্ছিই।

সকাল সকাল গ্রামে পৌঁছে, নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে মনে হল, এটা ভোট না কি পরীক্ষার হল? এমন শান্ত নিস্তরঙ্গ, এমন উপদ্রপহীন ভোট-উৎসব আমার গ্রামবাসী আগে দেখেছে কখনও? 

দুপুরে খাওয়ার পর মনে হল, যাই, একবার খোকার ঘর থেকে ঘুরে আসি। সেই কবে, খোকা ফিরে আসার পর থেকে আর কোনো খবরই নিইনি। 

জামা গায়ে বেরিয়ে পড়লাম। নিস্তব্ধ এই ভোটদুপুরে ভুঁইয়া পাড়ায় যেন কাক পক্ষীটিও নেই। আমি খোকার ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। দরজায় একটা চটের পর্দা ঝুলছে। পর্দার ভিতরমহলে কী যেন নড়ে উঠল। পর্দা সরিয়ে বউমা বেরিয়ে এল, মাথায় ঘোমটা টেনে আমাকে আহ্বান করল, - আসুন দাদা।

বউমা দাওয়ায় চাটাই পেতে আমাকে বসতে বলল। আমি উঠে গিয়ে চাটাইতে বসলাম, - খোকা কোথায়?
- গরম পড়েছে তো, দিঘির পাড়ে গাছতলায় শুয়ে আছে। ডাকব দাদা?
- না না, ঘুমোচ্ছে ঘুমোক, আর ডাকতে হবে না। আমি তোমার কাছেই কিছু জানতে চাই। কী হয়েছিল খোকার?

বউমা আমাকে যা বলল, তার মর্ম এই : সেদিন ঘরে ফিরে আসার পর থেকেই খোকা আশ্চর্য রকমের শান্ত ও স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কাজকম্ম সবই করছে, দোকান বাজারও যাচ্ছে, কিন্তু একটা দিনও কারও সঙ্গে কোনো কথা বলে না, কাউকে কিছু বোঝাতে যায় না, বা ভাষণ-টাষণও দেয় না। ওকে নিয়ে যারা হাসি ঠাট্টা করত, তাদের সঙ্গেও কথা বলে না। কথা বলে না মানে, বলেই না। ক্লাবে টিভি দেখতে যেত, সেটাও আর যায় না। একেবারে শান্ত নির্জীব যাকে বলে, তাই হয়ে গেছে।
- কেন এমনটা হয়েছিল, কোনো আন্দাজ করতে পারো?

বউমা বলল, খোকার আসলে কী যে হয়েছিল, ও আজও ভালো করে বুঝতে পারে না। কার উদ্দেশে, কেনই বা অমন অস্বাভাবিক আচরণ করত, আর কেনই বা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল, বেরিয়ে কোথায় বা গেল, ও কিছুই জানতে পারেনি।
বললাম, কোনো রাগ বা অভিমান কিছু বুঝতে পারছ?
- হ্যাঁ দাদা, একটা রাগ অভিমান তো আছেই, কিন্তু কার উপর সেটা বুঝতে পারি না। আমি জিগ্গেস করে দেখেচি, কিছু বলতেই চায় না।
- এখন ওর সময় কাটে কী করে? মানে কাজ না থাকলে ঘরে বসে কী করে?
- ঘরে বসে খাতা পেন নিয়ে দিনরাত কী সব হিসেব করে।

হিসেব করে মানে? বউমা বলে কী! প্রায় আজন্ম অক্ষর-পরিচয়হীন, শিক্ষাদীক্ষাহীন, জন্মাবধি হান্ড্রেড পার্সেন্ট ডেফ অ্যান্ড ডাম একটি মানুষ খাতা পেন নিয়ে হিসেব লেখে মানে! বললাম, কী হিসেব করে, কোন খাতায়? আমকে একটু দেখাতে পারবে?
- বাজার থেকে ছোটোছোটো খাতা কিনে আনে, ওতেই লেখে। ওই কদিন কাজ হল, কত টাকা মাইনে দিল, কত বাকি রইল, কত খরচ হল - এসব।
- আমাকে একটু বার করে দেখাও তো বউমা।

বউমা ঘরের ভিতর থেকে একটা চটের থলে বের করে আনল। থলে উপুড় করতেই ভিতর থেকে বেরিয়ে এল চারটে ছোটো সাইজের এক্সারসাইজ রুলটানা খাতা, তিনটে সস্তা ইউজ অ্যান্ড থ্রো বলপেন। দৈনিক পত্রিকা থেকে কেটে রাখা কয়েকটি ছবি। ছবিগুলির কয়েকটি লকডাউনের দিনগুলিতে রাজপথে হাঁটতে থাকা ক্লান্ত শ্রমিকদের খুব পরিচিত ভাইরাল হওয়া ছবি। কয়েকটি ছবি সদ্য ঘটে-চলা দিল্লির কৃষক আন্দোলনের। তার মধ্যে কোনোটি পুলিশের জল কামানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জনৈক বৃদ্ধ কৃষক, কোনোটি নিরস্ত কৃষকদের উপর পুলিশের লাঠি চালানোর, একটিতে রয়েছে কৃষকদের ট্রাক্টর চালিয়ে ব্যারিকেড ভাঙার ছবি, একটিতে লালকেল্লার ভিতরে ঢুকে পড়া আন্দোলনরত একদল কৃষকের ছবি - ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং ভাঁজ করে যত্নে মুড়ে রাখা একটা লাল পতাকা।

আমি ছবিগুলি রেখে এবার খাতা খুলতেই আমার চোখের সামনে যেন কোন প্রাগৈতিহাসিক লিপিমালা চলমান ছায়াছবির মতো প্রবাহিত হয়ে চলল। নীল কালিতে পরিচ্ছন্ন হস্তাক্ষরে প্রাচীন কোনো লিকিকর যেন পাতার পর পাতা লিখে গেছেন। চারটি খাতার প্রথম দুটি সম্পূর্ণ এবং, তৃতীয় খাতাটির অর্ধেক পর্যন্ত লেখায় ভরে উঠেছে। কিন্তু আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় এই লিপির একটি বর্ণও আমার পরিচিত নয়, কস্মিনকালেও এরকম কোনো ভাষালিপি আমি দেখিনি। এর একটি অক্ষরও পাঠোদ্ধার করা আমার সাধ্যের বাইরে। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উলটে উলটে দেখে যাচ্ছি সেই সব আশ্চর্য লিপিমালা।       

হয়তো হাজার বছর পর, ভবিষ্যতের কোনো এক প্রত্নতত্ত্ববিদ অতীতের ধ্বংসস্তূপের থেকে আবিষ্কার করবেন এই দলিল, এই অনির্বচনীয় অক্ষরলিপি। গবেষকের দল অনেক গবেষণার পর পাঠোদ্ধার করে বলবেন, একবিংশ শতাব্দীর এ এক আশ্চর্য বৈপ্লবিক ইশতেহার।

Powered by Froala Editor