কয়েকশো বছর আগে একদল নাস্তিক উদ্বাস্তু মানুষের হাত ধরে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের মাটিতে প্রবেশ করলেন মাকালদেব। মাকাল (Makal), ‘মাখাল’ শব্দের অপভ্রংশ, যার অর্থ নদীস্রোত। দেব না দেবী—সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, কেননা দক্ষিণরায়ের প্রচলিত বারামুণ্ডে যেমন একটি মুণ্ড নারায়ণী হিসেবে পূজিতা, ঠিক তেমনই মাকালদেবের স্তূপে একটি স্তূপ থাকে না সবসময়, একাধিক স্তূপের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মাকালচণ্ডী হাওড়ার এক বিশেষ লৌকিক দেবী, যাঁকে আসলে মাকাল দেবতার স্ত্রী রূপ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
মাকালদেব কি শিব? এমন প্রশ্নও ঘোরেফেরে প্রায়ই। এটা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে মাকাল দেবতা স্বয়ং শিব। হতেই পারে, মাকাল শব্দটি মহাকালের অপভ্রংশ হিসেবে এসেছে। 'তারকেশ্বর শিবতত্ত্বে' বলা হচ্ছে,
'ক্ষেত্রপাল মহাকাল প্রভৃতি দেবতা।
যাহার যেরূপ ভক্তি সেরূপ গঠিতা।
কোথায় ওলাইচণ্ডী মাখালজলায়।
বৃক্ষতলে মহাপ্রভু স্থানদৃশ্য পায়।'
এখানে 'মাখাল' শব্দের মাধ্যমে মাকালদেবকে প্রকাশ করার চেষ্টা হয়েছে। জলায় অর্থে জলের কাছাকাছি। যেহেতু মাকালদেব মূলত মৎস্যজীবীদের দেবতা এবং সাধারণত তার পূজা হয়ে থাকে নদীর অথবা পুকুরের পাড়ে।
অন্যদিকে কবিশেখরের ‘কালিকামঙ্গল’-এ আছে—'ঘুরালো মাখাল বন্দোঁ পুরাণের ঘাটু'। মাকালদেব যে শিবেরই প্রতিরূপ, তা দুটি উদাহরণ থেকে আমরা বোঝবার চেষ্টা করব। ১. মাকাল দেবতার পূজার অন্যতম উপকরণ কলকে, গাঁজা। ২. চড়কের শিবের মতোই মাকাল দেবতার ফুলযাত্রা হয়ে থাকে। সাধারণত মৎস্যজীবীরা নদীতে যাওয়ার আগে মাকাল দেবতার প্রতীকী স্তূপের উপর চাঁপাফুল চাপায়; যতক্ষণ-না সেই চাঁপাফুল আপনা থেকে পড়ছে, ততক্ষণ প্রার্থনা চলতে থাকে। চাঁপাফুলটি আপনা থেকে পড়ে যাওয়ার পর জেলেদের আনন্দের সীমা থাকে না। সেই ফুলটি গামছায় বেঁধে তারা নদীপথে যাত্রা শুরু করে। চড়কের সময়ও একই প্রক্রিয়ায় সন্ন্যাসীরা শিবলিঙ্গে চাঁপাফুলের যাত্রা করে।
বছরের বিভিন্ন সময় মাকাল দেবতার পূজা হয়ে থাকে। তবে বর্ষাকালে তাঁর পূজার প্রাধান্য বেশি। মাকাল দেবতার কোনো নির্দিষ্ট মূর্তি নেই। তিনি পূজিত হন স্তূপাকৃতি প্রতীকে, যা অনেকটা উল্টানো মাটির গ্লাসের মতো। জলাশয়ের ধারে তিনস্তরবিশিষ্ট বেদি তৈরি করে একটি বা একাধিক মাটির স্তূপ বানানো হয়। আজকাল কোথাও কোথায় সিমেন্টের স্থায়ী স্তূপ বানানো হয়েছে। চারটি তীরকাঠি চারকোণে পুঁতে দেওয়া হয়, লাল সুতো দিয়ে সেগুলিকে বাঁধা হয়। দেবতার বেদির সামনে একটি ঘটও থাকে। বহুক্ষেত্রে মাকাল দেবতার সামনে একটি কুমিরের অবয়বও থাকে। সাধারণত রাতের দিকে শিয়ালের ডাক শুনে এই দেবতার পূজা শুরু হয়। মাকাল দেবতার পূজার কোনো নির্দিষ্ট মন্ত্র নেই; কখনও দোয়াশী বর্ণের ব্রাহ্মণ নিযুক্ত হলে তিনি তিনবার 'গুরু সত্য' শব্দটি উচ্চারণ করেন। বাজনা বা বলিরও ব্যবস্থা নেই। এই পূজায় কোনো ব্রাহ্মণ লাগে না, মৎস্যজীবী দলের প্রধানই পূজা সারেন। তবে আতপ চাল, নিরামিষ বাতাসা আর পাকা কলা নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয়। জ্বালানো হয় প্রদীপ। পূজোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফুলযাত্রা।
মাকাল দেবতার শৈবযোগ সম্পর্কে আমরা আগেই কিছুটা বলার চেষ্টা করেছি। মাকাল যদি ‘মহাকাল’-এর অপভ্রংশ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে 'কাল বা নিয়তি' (যা অবশ্যম্ভাবী)-র দর্শনের সঙ্গে এই দেবতার তত্ত্ব চূড়ান্ত সাযুজ্যপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ের অন্য একটি গবেষণা আমাদের চোখ খুলে দেয়। সেটি মাকাল দেবতার 'আজীবিক' যোগ। প্রাচীন ভারতবর্ষে আর্য সভ্যতার অন্তিমলগ্নে যে ব্রাহ্মণ্যবাদ-বিরোধী ঢেউ উঠেছিল, সেই ঢেউ থেকে যেমন বুদ্ধের দর্শন জন্ম নিয়েছে এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায় গড়ে উঠেছে, যেমন মহাবীরের দর্শন এসেছে এবং জৈন মতাবলম্বীরা এসেছেন, ঠিক তেমনই প্রাচীন শৈবদের একটি অংশ মাখখাল গোশালের নেতৃত্বে নতুন দর্শন গ্রহণ করেছিলেন। এই দর্শন থেকেই আজীবিক সম্প্রদায়ের বুৎপত্তি।
সরল ভাষায় বলতে গেলে, আর্যদের প্রবর্তিত মতবাদের মধ্যে প্রাচীন শৈবদের একটা অংশ যাঁরা স্বীকার করলেন কাল বা নিয়তিকেই অথচ পাপ-পুণ্য, ঈশ্বর-স্রষ্টা, স্বর্গ-নরক ইত্যাদির ধারণাকে পুরোপুরি কল্পিত মনে করলেন, সেইসব নিরীশ্বরবাদীরাই মাখখাল গোশালের অনুগামী বা আজীবিক। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক এ এল বাসাম এবং ড. হোয়ার্নলে এই আজীবিক পন্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আজীবিকপন্থার কোনো ধর্মীয় পুথি বা গ্রন্থ এখনও পাওয়া যায়নি। মাখখাল গোশাল ছাড়া তাঁদের আর কোনো প্রবক্তার নামও পাওয়া যায় না। ব্রাহ্মণ, বৌদ্ধ ও জৈনদের গ্রন্থগুলিতে তাঁদের সম্পর্কে যা যা বলা হয়েছে সেটিই প্রামাণ্য (খুব স্বাভাবিকভাবেই আজীবিক পন্থাকে নিয়ে খণ্ডনমূলক কথাই বলা হয়েছে)। মাখখাল গোশালের প্রবর্তিত এই মতামতের মুখ্য অংশ হল—ঈশ্বরের অস্তিত্ব শুধু মানুষের কল্পনায়, কোনো কিছুই পাপ বা পুণ্যের স্রষ্টা হতে পারে না। তাই কোনো কাজকেই ন্যায়সঙ্গত বা অন্যায় বলে চিহ্নিত করা যায় না। ঠিক যেমনটা মার্কস লিখলেন, বুর্জোয়া শ্রেণির ইচ্ছেটা সকলের উপর চাপিয়ে দেওয়াই বুর্জোয়াদের আইনশাস্ত্র।
ভাবুন, আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে, যখন মার্কসীয় দর্শন পৃথিবীতে আসেনি, ইউরোপে শিল্পবিপ্লব ঘটেনি, আধুনিক সমাজ-ব্যবস্থাই তৈরি হয়নি—তখনকার সময়ে ভারতীয় সমাজে কোন পর্যায়ে বস্তুবাদ চর্চা হত! তবে মাখখালের দর্শনে বস্তুবাদের জায়গা থেকে কিছু অসঙ্গতিও আছে। যেমনটা মাখখাল বললেন, সব-কিছু পূর্ব-নির্ধারিত; কোনোকিছুই পরিবর্তন করার ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু নেই। অনেকটা হেগেলীয় দর্শনের অ্যাবসিলিউট আইডিয়ার মতো। যাইহোক, সে-কারণেই নৈবেদ্য, বলিদান ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা আজীবিকেরা অনুভব করেননি। এমনকি মন্ত্রোচ্চারণের প্রয়োজনীয়তাও নেই। যদিও 'মাকাল' দেবতার পুজোয় নৈবেদ্য-র উপস্থিতি পরবর্তীতে বিবর্তনকালীন সংস্কার বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
আজীবিকদের মধ্যে কোনো সন্ন্যাসী বা পুরোহিত ছিল না। তবে পথপ্রদর্শক 'গুরু' অবশ্যই ছিল। যে কারণে মাকালপুজোয় 'গুরু সত্য' শব্দের অবতারণা, আজও। পলাশপুর নগরে আজীবিক সম্প্রদায়ের একটি সভাস্থানের নাম পাওয়া যায় জৈনসূত্র 'উবাসনা দশাও'-তে। নন্দ রাজাদের সময়ে কলিঙ্গযুদ্ধের আগে অবধি আজীবিক পন্থা রাষ্ট্রে উপেক্ষিত বা নির্বাসিত ছিল না। যেমন বিন্দুসারের রাজজ্যোতিষী একজন আজীবিক ছিলেন, অশোকের ভাই বীতশোক (যিনি পরে আজীবিক-বিদ্বেষী আগ্রাসনে নিহত হন) একজন আজীবিক ছিলেন, অশোকের রাজসভায় একজন রাজমহিষীও আজীবিকপন্থী ছিলেন। ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী মূলধারার সমস্ত মতাবলম্বীদের মতোই আজীবিক গোষ্ঠীর পেশা ছিল কারিগরি অথবা বাণিজ্য।
অশোকের দর্শন ছিল—স্বর্গলাভ-ই মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য, এ-কারণে সকলের রাজানুগত্য নির্বাহ করা উচিত। অশোক তাঁর দর্শন প্রসারের জন্য কয়েকজন ধর্মমহামাত্র নিযুক্ত করেন। স্বাভাবিক কারণেই আজীবিকদের সঙ্গে অশোকের সংঘাত সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। কালক্রমে অশোকের রাজনীতির অন্যতম হয়ে ওঠে আজীবিক-বিদ্বেষ। কলিঙ্গ যুদ্ধের প্রশ্নে যেখানে অশোকের ভাবনা ছিল যুদ্ধান্তে একদলের স্বর্গলাভের প্রশ্নটি, সেখানে আজীবিকপন্থীরা বাস্তবতার ভিত্তিতে মনে করতেন কলিঙ্গ আক্রমণ করে অশোক কোনো পাপ করেননি ,তাঁর বিরুদ্ধে যাঁরা অস্ত্রধারণ করেছেন তাঁরাও পাপ করেননি; তাই অস্তিত্বহীন পাপকাজের শাস্তিস্বরূপ কাউকে হত্যা করা বা নির্বাসনে পাঠানোও যুক্তিসঙ্গত নয়। অশোক নিযুক্ত ধর্মমহামাত্রদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আজীবিকপন্থীরা কখনই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। স্বভাবিকভাবেই অশোকের আজীবিক-বিদ্বেষ বাড়তে থাকে। একদা অশোক আজীবিকপন্থীদের মুণ্ডচ্ছেদের পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণমুদ্রাদানের ঘোষণাও করেছেন।
অশোক নিযুক্ত ধর্মমহামাত্ররা যখন আজীবিকপন্থীদের প্রভাবিত করতে পারলেন না ঠিক তার পরই আজীবিকদের বাস্তুহারা করানোর চরম নির্মম কাজটি শুরু হল। অশোকের রাজ্যাভিষেকের সাতাশতম বছরের পর কোনো এক সময় এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। পাটলিপুত্রে অনুষ্ঠিত এক আজীবিক হত্যাকাণ্ডে অশোকের ভাই বীতশোক প্রয়াত হন। আগেই জানিয়েছি, বীতশোক আজীবিকপন্থী ছিলেন। ইতিহাস কেবল অশোককে পরমতসহিষ্ণু, মহৎ রাজা হিসেবে চিহ্নিত করলেও যুক্তিবাদী আজীবিকদের এই নির্মম হত্যা এবং বিভিন্ন গুহা (তাদের বাসস্থান) থেকে উচ্ছেদের ঘটনাকে সামনে আনে না। সুবর্ণগিরি, তোষালী ও সমাপতে নামের কলিঙ্গরাজ্যের তিনটি শহর থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়া এই আজীবিকপন্থীদের একটা অংশ আশ্রয় নেয় গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের দ্বীপ উপকূলে, অন্য অংশ দাক্ষিণাত্যে। কলিঙ্গযুদ্ধের শেষে কয়েকবছর আগেই এই সুন্দরবন উপকূলে হাজার হাজার কৈবর্ত আশ্রয় নিয়েছিল। এখানে এসে প্রাণভয়ে আজীবিকপন্থীরা নিজেদের সম্প্রদায়ের নাম ব্রাত্য রেখে তাঁদের মতবাদের স্রষ্টা 'মাখখাল'-এর নামেই নিজেদের পরিচয় দিতে লাগলেন। এবং তাঁরা মৎস্যজীবীর পেশাকে গ্রহণ করলেন। এই 'মাখখাল'-ই আজকের মাকাল-এ রূপান্তরিত হয়েছেন।
আজীবিকপন্থীদের কোনো ঈশ্বরে বিশ্বাস ছিল না। তারা 'মাখখাল' কে-ই স্মরণ করতেন 'গুরু সত্য' উচ্চারণের মাধ্যমে (আজও যা হয়)। ঠিক যেভাবে বুদ্ধের চুল,দাঁত ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধরা স্তূপ বা ভোটিভ স্তূপ নির্মাণ করে উপাসনা করতেন সেভাবেই আজীবিকেরাও ভোটিভ স্তূপ নির্মাণ করে গুরু স্মরণ করেছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে আজীবিকপন্থীদের দাক্ষিণাত্যে প্রবেশের পর এই মাখখাল হয়ে উঠলেন 'কানিয়াম্মা'। অদ্ভুত ভাবেই কানিয়াম্মার পুজোও মাকালপুজোর সঙ্গে গভীর সাদৃশ্যমান। যেখানে মন্ত্র নেই, সামগ্রী-নৈবেদ্য-বলিদান নেই, আছে কেবলমাত্র বালির ভোটিভ স্তূপাকৃতি প্রতীক। 'মাখখাল' স্তুতির প্রভাব পরবর্তীতে বাংলার গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজেও এসে পড়ে। বৈষ্ণবদের সমাধির উপর একইরকম উল্টানো গ্লাস বা শঙ্কু আকৃতির স্তূপ দেখা যায়। ওপার বাংলা থেকে আগত বহু মানুষের মৃত্যুর পর তাদের পা ধৌত করার অন্তর্জলীর স্থানটি সংরক্ষিত করে, তার উপরের বেদিতে মাকাল স্তূপের মতো আকৃতি তৈরির প্রবণতা দেখা গিয়েছে। মাকাল দেবতার প্রসঙ্গে আরো বলতে হয়, কাটোয়ার মাখালপুর কিম্বা সুন্দরবনের মাকালতলা আসলে আজীবিক সম্প্রদায়ের প্রাচীন বসতভূমি।
অন্যদিকে বনাঞ্চলে 'আট মাকাল' পূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ আচার। এই আট মাকালের ক্ষেত্রে বেদিতে আটটি স্তূপ বানানো হয়। আটটি স্তূপের মাঝের স্তূপটিকে 'আটেশ্বর' দেবতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আটেশ্বর গবাদিপশু-রক্ষক দেবতা। এই প্রথাটি বৌদ্ধদের আটটি ভোটিভ স্তূপ নির্মাণ করে অষ্টমার্গের প্রতীকী উপাসনার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। 'মাকাল' দেবতার উপাসনার আচারে যে বৌদ্ধপ্রভাব এসে পড়েছে, তা মাকাল দেবতার বেদির দিকে লক্ষ্য করলেও খানিকটা বোঝা যাবে। অন্যান্য বৌদ্ধ স্তূপ বা ভোটিভের মতোই মাকাল ঠাকুরের বেদিতে তিনস্তর (three steps) বর্তমান। বৌদ্ধ নির্মাণের জ্যামিতিতে যা বুদ্ধ, ধম্ম ও সংঘের প্রতীকচিহ্ন।
নিরীশ্বরবাদী আজীবিকদের উপাস্য নিরীশ্বরবাদী মাখখাল, আজ দেবতায় রূপান্তরিত। যদিও পেশা-পরিবর্তন, ভোগবাদী সমাজপ্রবণতার প্রভাব মাকাল দেবতার পুজোতেও কোপ মেরেছে। তবুও মাকাল দেবতা এক ঐতিহাসিক পরিযায়ী মানুষের অশ্রু, যন্ত্রণার চিরায়ত সাক্ষ্য হয়ে,অধুনালুপ্ত এক যুক্তিবাদী সম্প্রদায়ের শেষ চিহ্ন হয়ে আমাদের মধ্যে থাকুন। ইতিহাস তাকে রাখুক নিজক্রোড়ে, খুব সাবধানে!
কৃতজ্ঞতা—
১.দক্ষিণবঙ্গের লোকদেবতা—সুজিতকুমার আচার্য।
২.বসিরহাট মহকুমার ইতিকথা—সম্পাদনা-পান্নালাল মল্লিক।
৩.স্বপনকুমার ঠাকুর।
৪.ভেবিয়া দক্ষিণরায়দেব মন্দিরের প্রত্নসম্পদ।
Powered by Froala Editor