করোনাভাইরাসের মহামারীর ফলে ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। শুরু হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী ছাঁটাইও। কাজ হারাচ্ছেন প্রচুর মানুষ। পাশাপাশি মার খাচ্ছেন অন্যান্য পেশার লোকজনও। লকডাউনে মানুষ ঘরে বন্দি হয়ে থাকায়, রুজি-রোজগার বন্ধ হয়েছে তাঁদের।
এমনই একজন, ম্যাজিশিয়ান রাজু মোহর। তবে সকলের কাছে ‘আরজে সম্রাট জাদুকর’ নামেই পরিচিত রাজু। ম্যাজিকই তাঁর পেশা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরেই তিনি স্টেজ কাঁপান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কখনো কখনো ৮-১০টা শোও করেছেন এক-একদিনে। কিন্তু লকডাউনে দেশের মানুষ গৃহবন্দি। বন্ধ ম্যাজিক শো-এর উপার্জনও। তাই বাধ্য হয়েই এখন সবজি বিক্রি করছেন তিনি। প্রায় দশ-বারোজন সহকারীও কাজ করতেন এই জনপ্রিয় ম্যাজিশিয়ানের সঙ্গে। কাজ হারিয়েছেন তাঁরাও।
লকডাউনের ঠেলায় রাজুর পাশাপাশি উপার্জনের রাস্তা বদলেছেন গোয়ার বুকিরাও। গোয়ায় রমরমিয়ে ব্যবসা এই মটকা বুকিদের। বেটিংয়ের এই খেলায় নগদ টাকার হাতবদল হয় তাঁদের মাধ্যমেই। দিনে ব্যবসা চলে প্রায় দশ থেকে বারো কোটির। এই পেশাতেই জড়িত রয়েছেন মোটামুটি দশ হাজার বুকি।
তাঁদের অবস্থাও এখন সংকটজনক। লকডাউনের মধ্যে কাজের ঠিকানা বদলে ফেলেছেন তাঁরাও। অনেকে বিক্রি করছেন ফল, অনেকে ডিম। ২১শে মার্চ জনতা কার্ফু ঘোষণার ঠিক পরেই, অন্ধকার নেমে আসে মটকার ব্যবসায়। লোকজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে খেলতে আসছেন না এই লকডাউনে। বুকিদের পক্ষেও সম্ভব না বাড়ি বাড়ি যাওয়া! তাই পেশা বদলাতে হয়েছে তাঁদের।
পেশা পাল্টে ফেলা এক বুকির কথায়ম, পরিচিত থাকায় অসুবিধা হচ্ছে না উপার্জনের। চেনা মানুষরা তাঁর কাছ থেকেই কিনছেন ফলমূল। তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া চলে যায়। তা ছাড়া, কেউ-ই আপত্তি করছে না অল্প বেশি দামে কিনতে। তাতে চলে যাচ্ছে তাঁদের দিন। তবে সকলেই অপেক্ষা করে আছেন এই লকডাউন ওঠার। অপেক্ষা করছেন কবে সুস্থ হয়ে উঠবে সারা দেশ, স্বাভাবিক হবে উপার্জনের পথ।