কঙ্কাল বদলে যেত আস্ত নারীদেহে! বাংলার জাদু-জগতের পথিকৃৎ গণপতি চক্রবর্তীর খেল এমনই

জমিদারবাড়ির ছেলে। লেখাপড়ায় মন নেই মোটেই। তবে সঙ্গীতচর্চায় বরাবরের ভালবাসা। তবলায় ছিল চমৎকার হাত। বাড়িতে তিরস্কার, উপদেশ, বকুনি লেগেই থাকত অধ্যায়নে মনোযোগ দেওয়ার জন্য। অথচ তাঁর কিশোর বয়স থেকেই জাদুবিদ্যা শেখার ঝোঁক। পথে-ঘাটে যেখানেই মাদারিদের খেলা দেখতে পেতেন, সেখানেই অপলক একমনে দাঁড়িয়ে পড়তেন তিনি। তাঁর বাবা তাঁকে ভয়ও দেখাতেন, বঞ্চিত করবেন সম্পত্তি থেকে। এ হেন ছেলেটি আর কেউ নন। তিনি বাংলার অগ্রগণ্য জাদুকর গণপতি। 

বাবার নাম মহেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও জ্ঞাতিবিরোধে সম্পত্তিচ্যুত হয়ে বাড়ি করেন হাওড়ার সালকিয়াতে। গণপতি চক্রবর্তীর জন্ম এই শালকিয়াতেই। ১৮৫৮ সালের নভেম্বর মাসে। পিতা ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। পূজা-আহ্নিক নিয়েই থাকতেন তিনি। তাঁর ইচ্ছে ছিল বালক গণপতি চক্রবর্তীও পূজা-অর্চনা, দেবভক্তি নিয়েই থাকবেন। মহেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী খুব ভাল পাখোয়াজ বাজাতেন। সেখান থেকেই সঙ্গীতচর্চার প্রতি ভালবাসা জন্মেছিল বালক গণপতির। ছোট থেকেই তবলায় নানান বোল ফোটাতে পারতেন তিনি। আরেকটু বড়ো হতেই তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল জাদুচর্চা।

সেসময় কলকাতার দর্জিপাড়ায় ছিল রামানন্দ পাল মহাশয়ের নাট্যচর্চার দল ‘নাট্য সমাজ’। সেখানেই গণপতি খুঁজে পেলেন তাঁর জাদুশিক্ষার প্রথম গুরু ক্ষেত্রপাল বসাককে। পরবর্তীকালে জওহরলাল ধরের কাছেও শিক্ষাগ্রহণ করেন গণপতি চক্রবর্তী। 

মণীন্দ্রনাথ লাহা ছিলেন গণপতি চক্রবর্তীর অন্তরঙ্গ বাল্যবন্ধু। টুকটাক ছোটখাটো খেলা বানিয়ে এই বন্ধুকেই দেখাতেন গণপতি চক্রবর্তী। বছর সতেরো-আঠারো বয়সে দুই বন্ধুতে পালিয়ে গেলেন বাড়ি থেকে। স্বপ্ন ছিল জাদুকর হওয়ার। তবে তার বদলে গিয়ে পড়লেন সাধু-সন্ন্যাসীদের পাল্লায়। মণীন্দ্রনাথ বেশ ভালোই ছিলেন পড়াশোনায়। বেশিদিন সেখানে থাকা হল না তাঁর। ফিরে গেলেন বাড়িতে। তবে কিশোর গণপতি রয়ে গেলেন সাধুদের সঙ্গেই। সেখানে কখনও কলকে সাজিয়ে দেওয়া, কখন অন্যান্য সাহায্যের মাধ্যমে আয়ত্ত করলেন বেশ কিছু জাদুবিদ্যা। শিখলেন তন্ত্র-মন্ত্রের সাধনা, ভেলকি। 

কালচক্রের পরিবর্তনে সেই কিশোরই যুবক হয়ে উঠল। দীর্ঘ মেদহীন চেহারা, ছুঁচালো গোঁফ। সামান্য ট্যারা। চোখের দৃষ্টি সুতীক্ষ্ণ। চোখে-মুখে প্রচ্ছন্ন আত্মপ্রত্যয়ের ছাপ। নিজেকে একজন পূর্ণ জাদুকর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেলেন। একসময় তাঁর জাদুর খ্যাতি মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল। তাঁর সম্পর্কে গুজব, গল্পকথাও বাদ ছিল না। তবে যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা, এত আলোড়ন সেই গণপতি চক্রবর্তী আদপে নির্বিকার, শান্ত, চুপচাপ একজন মানুষ। সাদাসিধে বেশভূষা। হাঁটুর ওপর কাপড়, পায়ে চটি জুতো, গায়ে তিনপোয়া হাতাওয়ালা খাটো পাঞ্জাবী, মাথায় সরু টিকি। সাত্ত্বিকভাবাপন্ন গৌরকান্তি ব্রাহ্মণ। আড্ডা দিতেন চিৎপুর রোড আর বিডন স্ট্রিটের মোড়ে শ্রীকৃষ্ণ লাইব্রেরিতে। 

 

সেসময় গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসের মালিক ছিলেন প্রিয়নাথ বসু। গণপতি এই সার্কাসে যোগদান করেন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে। তবে শর্ত ছিল তিনি ‘ফাউ’ হিসাবেই কাজ করবেন। লোককে হাসাবেন, টুক-টাক ম্যাজিক দেখাবেন। কিন্তু কোনো পয়সা পাবেন না। দু’জন শিল্পীর খেলা দেখানোর মাঝে যে ফাঁক পাওয়া যায়, সেই সময়টুকুই মঞ্চ পাবেন তিনি। কিন্তু কোনো শিল্পীর মর্যাদা পাওয়া যাবে না। তবে দক্ষ গণপতি বেশ ভালই খেলা দেখাতেন। কৌতুক সৃষ্টি করায় তাঁর সহজ ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। মানুষকে হাসাতেও দক্ষ ছিলেন গণপতি চক্রবর্তী। দীর্ঘ কুড়ি বছর তিনি যুক্ত ছিলেন এই সার্কাসের সঙ্গে। ৫৫ বছর বয়সে তিনি এই সার্কাসের কাজ ছেড়ে দেন। গঠন করেন নিজের দল।

আরও পড়ুন
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বারবার পালিয়েছেন অগ্নিযুগের জাদুকর ‘রয় দ্য মিস্টিক’

উনবিংশ শতাব্দীর ভারত রত্নপ্রসবা বলে খ্যাত। সেই রত্নরাজির মধ্যে গণপতি চক্রবর্তী অন্যতম। তাঁর খেলায় ছিল প্রচুর হাস্যরস, ছিল টেম্পো, ছিল বাক-চাতুর্য। বিদেশি খেলাকে এদেশের দর্শকদের উপযোগী চিত্রবিভ্রমকারী, বিস্ময়কর কার্যকারিতা রূপে উপস্থাপন করতেন তিনি। যা একাধারে অবিশ্বাস্য এবং ক্ষিপ্ততায় সমুজ্জ্বল। তিরিশ-চল্লিশ বছরেরও বেশি এইসব খেলা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় দেখিয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে সেই সময় ভারতে অন্য কোনো জাদুকর না থাকায়, প্রচুর সুনাম অর্জন করতে পেরেছিলেন তিনি।

গণপতি চক্রবর্তীর বিখ্যাত খেলাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ভৌতিক বাক্স (ইল্যিউশন বক্স), জাদুর গাছ (ইল্যিউশন ট্রি) এবং কংসের কারাগার। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁকে বাক্সের মধ্যে তালা বন্ধ করা রাখা হত। পরীক্ষাও করতেন দর্শকরা। তারপর সেই অবস্থা থেকেই বেরিয়ে আসতেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যেই আবার ঢুকেও যেতেন সেই বাক্সের মধ্যে। এই খেলাটি এতটাই ক্ষিপ্রতা এবং তৎপরতার সঙ্গে দেখাতেন, মানুষ তাঁকে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বলেই ভাবত। তিনি ভেন্ট্রিলোক্যুইজমে দক্ষ এবং পারদর্শী ছিলেন।

 

আরও একটি খেলা ছিল ব্ল্যাক আর্ট। একটা উজ্জ্বল আলো থাকত। তারপর ধীরে ধীরে ঘন অন্ধকার হয়ে আসত। তারপর রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হত নরকঙ্কাল। রঙ্গমঞ্চজুড়ে হাহা-হিহি অট্টহাসি আলোড়িত হত। তারপর সেই কঙ্কালগুলি আবির্ভূত হত নারীদেহে। শূন্যে উড়ে আসত চেয়ার, টেবিল, চায়ের কাপ। তার সঙ্গে ভয়ঙ্কর মড়ার খুলি উড়ে এসে গণপতির মুখ থেকে সিগারেট নিয়ে খেত। মুঠো মুঠো ধুলো নিক্ষেপ করার পর সেখান থেকেই আবির্ভূত হত সুন্দর নারীমূর্তি। পাশাপাশি হাঁসের ডিম থেকে পায়রার জন্ম দিতেন তিনি। সেই পায়রা জন্মেই উড়ে যেত শূন্যে। এই ভয়াবহ, রোমাঞ্চকর, অদ্ভুতকর্মা ঐন্দ্রজালকে পেয়ে বাংলা কার্যতই গর্ব অনুভব করত। কারণ জাদুবিদ্যা ভারতের নিজস্ব কলা। প্রাচীনকাল থেকেই এটি প্রচলিত।

বিভিন্ন খেলা এবং অভিজ্ঞতার দরুন ভারতীয় জাদুকরগণ তাঁকে গুরুর ন্যায় শ্রদ্ধা করতেন। তাঁর জাদুপ্রদর্শনী দেখার জন্য মানুষের যে দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথও সেই আকর্ষণের ঊর্ধ্বে ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে রস-সাহিত্যিক পরিমল গোস্বামীর ‘স্মৃতিচিন্ত্রন’ গ্রন্থ থেকে এই উদ্ধৃতিটি উল্লেখযোগ্য। “শান্তিনিকেতনে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই দেখলাম গণপতি চক্রবর্তীর ম্যাজিক। দেখলাম তাঁর সেই বিখ্যাত, প্রসিদ্ধ ভৌতিক বাক্স’র খেলা। এই আসরে রবীন্দ্রনাথও উপস্থিত ছিলেন। খেলা শুরু হওয়ার আগে সন্তোষ মজুমদার, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আরও অনেকে বেশ ভালভাবেই বাক্সটি পরীক্ষা করেছিলেন।”

গণপতি চক্রবর্তীর শেষ ম্যাজিক শো-য়ের হ্যান্ডবিল

 

এই জাদুবিদ্যার সূত্রেই তাঁর সঙ্গে ঘটেছিল বেশ কিছু মজার ঘটনা, যে ঘটনাগুলির মাধ্যমে মানুষ গণপতি চক্রবর্তীর ভাবভঙ্গি-আচরণ সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। ওঁর কাছে বিভিন্ন ধরণের মানুষ আসতেন। উনি চেষ্টা করতেন সবাইকেই খুশি করার, ভরসা দেওয়ার। এমনই একদিন একজন এসে বললেন, আপনাকে একটা কথা বলব যদি অভয় দেন। উনি মজা করে বললেন, ‘অভয় দিচ্ছি, নিবেদন করো...’। তিনি শেষমেশ চেয়ে বসলেন, জাদুর মন্ত্র। যে মন্ত্র দিয়ে গণপতি বন্ধনদশা থেকেও বেরিয়ে আসতে পারেন। গণপতি বললেন, ‘সে কী হে? যে মন্ত্রের জেরেই আমি করে খাচ্ছি। সেই মন্ত্র নিয়ে তুমি আমার অন্ন মারতে চাও?’ লোকটি জিভ কেটে বলল, ‘না স্যর। আমি অন্য লাইনে থাকি’। 

ব্যাপার খোলসা হতে জানা গেল লোকটির যে লাইনে কাজ। তাতে তাঁকে মাঝেমাঝেই কোমরে দড়ি, হাতে হাতকড়া পড়তে হয়। হাজতবাসও করতে হয় মাঝে মধ্যেই। তাই সেই গারদ থেকে মুক্তি পাওয়ার অলৌকিক উপায়ই গণপতির কাছ থেকে শিখতে চাইছেন তিনি। গণপতি আগেই প্রকাশ করেছিলেন তাঁর কৌতুকের। এবার তাঁর মধ্যে ফুটে উঠল দরদ আর উদ্বেগ, ‘শোনো বাছা, আমি যে খেলা দেখাই তা কোনো মন্ত্র দিয়ে হয় না। তাতে শক্ত কৌশল লাগে। যা অনেক পরিশ্রম করে আয়ত্ত করতে হয়। তা তোমার দ্বারা হবে না। এবং সেই কায়দা তোমাকে শেখাবও না। তার চেয়ে বরং তোমাকে যাতে বন্ধনদশায় পড়তে না হয় ওই কাজ তুমি ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে কিছু অর্থসহায়তা করছি। তুমি বরং জীবনটা পাল্টে নাও’। পরবর্তী সময়ে নিজের জীবনটা পাল্টেও নিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি।

এমন আরও এক ঘটনা ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে। এক দর্শক তাঁর খেলা দেখতে আসতেন প্রায় তিন দিন-চার দিন পর পর। একদিন তিনি সুযোগ পেয়ে উপস্থিত হলেন গ্রিনরুমের পাশে। স্টাফদের বললেন, ‘জাদুকরকে একটু ডেকে দেবেন?’ রাজি হলেন না তাঁরা। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন সেই ভদ্রলোক। শেষমেশ স্টাফরা খবর দিলেন গণপতিকে। তিনি ডেকে পাঠালেন সেই ভদ্রলোককে। ভদ্রলোক গণপতির পায়ে পড়ে বললেন হাওয়া থাকে টাকা ধরার মন্ত্র শিখিয়ে দিতে। কারণ তাঁর মেয়ের বিয়ে আসন্ন। তবে ঘরে চরম অর্থাভাব। গণপতির উদারতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল সেদিন। বলেছিলেন, ‘মেয়ের বিয়ের জন্য তোমাকে মন্ত্র শিখতে হবে না। আমিই দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেব তোমার মেয়ের’। বিয়ের সমস্ত বন্দোবস্তই করে দিয়েছিলেন জাদুকর গণপতি।

তাঁকে আধুনিক জাদু-জগতের পথিকৃৎ বলাও চলে। কারণ তাঁর হাত ধরেই উঠে এসেছেন বাংলার বিখ্যাত জাদুকরেরা। গণপতি চক্রবর্তীর শিষ্য ছিলেন তিনজন। প্রথম জন প্রতুল চন্দ্র সরকার অর্থাৎ পিসি সরকার সিনিয়র, দ্বিতীয়জন জাদুকর দুলাল চন্দ্র দত্ত বা ডিসি দত্ত, আর তৃতীয়জন দেবকুমার ঘোষাল বা জাদুসূর্য দেবকুমার। এছাড়াও আরও অনেকেই হয়তো ছিলেন। তবে সে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তবে গণপতি চক্রবর্তী জাদুসম্রাট পিসি সরকারের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিলেন। গর্ববোধ করতেন তাঁর জাদু প্রতিভার। এমনকি ছাত্রদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের কৃতিত্ব দিয়ে পিসি সরকারকে চিঠিও লিখেছিলেন গণপতি চক্রবর্তী। এছাড়াও নিজেই জাদুবিদ্যার বিষয়ে একটি বই-ও লিখেছিলেন গণপতি। সে বইয়ের নাম ছিল ‘যাদুবিদ্যা’। 

গ্ণপতির লেখা সেই বইয়ের প্রচ্ছদ

 

 

জাদুকর জীবনের পাশাপাশিই একজন ধার্মিক মানুষ ছিলেন গণপতি। ঈশ্বরবিশ্বাসী ছিলেন বলে মান রেখেছিলেন বৃন্দাবনী জ্যেষ্ঠা ভগিনীর। কিরণশশী দেবীর নামে কিশোর মোহন কুঞ্জ নামের একটি দেবালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। নবদ্বীপের তৎকালীন পণ্ডিত সমাজ ওনাকে ‘জাদুবিদ্যা বিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। জাদুকর গণপতির দুটি দিক ছিল। একটি হল লৌকিক আমোদ-প্রমোদ, অন্যটি অলৌকিক রহস্যের।

নিজের তৈরি মন্দিরে ধ্যানরত গণপতি

 

শেষ জীবন গণপতি সাধন-ভজনেই অতিবাহিত করেছেন। তাঁরই প্রতিষ্ঠিত রাধা-গোবিন্দের মন্দিরে সেদিন চলছে অন্নকূটের উৎসব। প্রসাদ পাচ্ছে ভক্ত এবং দরিদ্রনারায়ণের দল। এমন সময় গণপতির কানে এল মৃতদেহবাহী দল শ্মশানবন্ধুদের ধ্বনি, ‘রাম নাম সৎ হে’। মৃদু হেসে গণপতি বললেন, ‘যাও বন্ধু আমিও আসছি’। মন্দির প্রাঙ্গণে রান্না করা শুভ্র অন্নের স্তুপ। বাতাসে ভেসে আসছে ধূপ-ধুনো-ফুলের পবিত্র সৌরভ। গণপতি রাধা-গোবিন্দের মূর্তিকে জড়িয়ে ধরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। দিনটা ছিল ২০ নভেম্বর ১৯৩৯ সাল। জীবনের মতো মৃত্যুও তাঁর এমনই অবিশ্বাস্য ছিল। ছিল এমনই অলৌকিক...

অনুলিখন – শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Powered by Froala Editor

More From Author See More