চলতি বছরেই বৃহত্তম টাইগার সেনসাস হয়ে গেছে ভারতেই। আশানুরূপ বৃদ্ধিও পেয়েছে বাঘের সংখ্যা। এবং সেদিক থেকে দেশের মধ্যে প্রথমস্থানেই ছিল মধ্যপ্রদেশ। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়লেও অন্য পরিসংখ্যানে আশঙ্কার মেঘ জমছে বিশেষজ্ঞদের মনে। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশে চলতি বছরে কেবলমাত্র এপ্রিল মাসের মধ্যেই নানান কারণে মারা গেছে ২৬টি বাঘ।
তবে মধ্য প্রদেশের বনমন্ত্রী বিজয় শাহ পিটিআইকে বলেছেন যে গত ছয় বছরে বাঘের গড় মৃত্যুর হার রাজ্যে তাদের জন্মহারের তুলনায় কম ছিল।
জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ২৬টি ব্যাঘ্রমৃত্যুর মধ্যে ২১টিই ঘটেছে খোদ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে। তার মধ্যে ১০টি ঘটনা ঘটেছে বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভে। তবে প্রথম তিন মাসে কোনো বাঘের মৃত্যু হয়নি বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। তবে গত ছ’বছরের মতো এবছরই বাঘের জন্মহার বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে মৃত্যুর হারের থেকে। যা স্বস্তি দিচ্ছে বনকর্মীদের।
গত বছর মধ্যপ্রদেশে তিনটি চোরাশিকারের ঘটনা ঘটলেও, এবছর নজরে আসেনি তেমন কিছু। কিন্তু হঠাৎ এই ব্যাঘ্রমৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন সম্পূর্ণ অন্য কথাই। সংরক্ষিত অরণ্যের ক্ষেত্রের থেকে বেশি হয়ে গেছে বাঘের সংখ্যা। যার কারণে আন্তর্প্রজাতি সংঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে অধিকাংশ বাঘের। সব মিলিয়ে শুধু বান্ধবগড়েই রয়েছে ১২৫টি বাঘ। যা পারতপক্ষে ৯০টি বাঘের বাসস্থান হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।
মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি কর্ণাটকেও নথিভুক্ত করা হয়েছে ১২টি বাঘের মৃত্যু। বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই যেন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। এই সমাধানের উপায়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানাচ্ছে বন দপ্তর।
Powered by Froala Editor