Powered by Froala Editor
পুজোয় বন্ধ ম্যাডক্স স্কোয়ারের বিখ্যাত আড্ডা; বাদ দর্শনার্থীরাও?
১/৭
২/৭
“বিশ্রাম বিশে, আড্ডা একুশে’। এবছরের মতো তোলা থাক আড্ডাটা। পরের বছর আবার হবে। এই মহামারী পরিস্থিতিতে ভিড় না বাড়ানোই ভালো।” বলছে ম্যাডক্স স্কোয়ার পুজো কমিটি। কিন্তু সেই ১৯৩৬ সাল থেকে যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কলকাতার পুজোর নস্টালজিয়া, সেই আড্ডা না বসলে তো খারাপ লাগবেই। স্বাভাবিকভাবেই মন ভালো নেই কলকাতা শহরের।
৩/৭
৮৫ বছরের পুজো ম্যাডক্স স্কোয়ারের। তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসও। এক সময় এই ম্যাডক্স স্কোয়ারের আড্ডায় ভিড় জমিয়েছেন ললিতা চ্যাটার্জি, কাবেরী বসু। পাড়ার বাসিন্দাদের পাশাপাশি প্রথম থেকেই নানাধরনের যাত্রাপালা হত ম্যাডক্স স্কোয়ারে।
৪/৭
পুজোর চারদিন ধরে চলত যাত্রাপালা। একটা রাত থাকত নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্য। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে আড্ডার চরিত্র। কিছু বছর হল জি নেটওয়ার্ক নিয়মিত অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করে।
৫/৭
সামনের বছর থেকে আবারও শুরু হবে আড্ডা। এমনটাই জানাচ্ছে পুজো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইতিহাসে যে ছেদ পড়ল তাতেই মুষড়ে পড়েছেন কলকাতাবাসী। বিশেষ করে অষ্টমীর রাতে ম্যাডক্স স্কোয়ারে ভিড় না করলে তো পুজোর মজাই মাটি হয়ে যায়।
৬/৭
ম্যাডক্সের আড্ডায় শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে মিলে যায় সময়ও। একদিকে বর্তমান প্রজন্মের শিল্পীদের অনুষ্ঠানের সঙ্গেই তরুণ সমাজের নানা চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মিলে যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হোক কলরবের বার্তাও ছড়িয়ে পড়েছিল ম্যাডক্স স্কোয়ারের পুজোয়।
৭/৭
আড্ডা না হলেও পুজো হচ্ছে আগের মতো করেই। দর্শনার্থীরা ব্যারিকেডের ওপার থেকে প্রতিমা দর্শন করবেন। অঞ্জলির জন্য ফুল সম্ভব হলে তাঁরাই নিয়ে আসবেন। মণ্ডপের ভিতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। থাকবে যথাযথ স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও। জানালেন পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অমলেন্দু সরকার এবং শৌভিক আদক।