শারীরিক যন্ত্রণা কিংবা বেদনার বহিঃপ্রকাশ করতে বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করে থাকি আমরা। কখনো বলা হয় বুক ‘চিনচিন’ করছে কিংবা মাথা ‘দপদপ’ করছে। আসলে প্রতিটি অভিব্যক্তির সঙ্গেই জড়িত ব্যথার বিভিন্ন ধরণ। পরোক্ষে তা কোনো রোগের লক্ষণও বটে। এবার মানুষের এই পরিভাষা শুনেই সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবে যন্ত্র। এমনই অভিনব অ্যালগরিদম প্রস্তুত করে ফেললেন বাঙালি গবেষক সাজিয়া মেহনাজ।
সম্প্রতি তাঁর এই উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের জন্য তিনি পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘আউটস্ট্যান্ডিং কর্পাস থিসিস অ্যাওয়ার্ড’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাজিয়ার গবেষণার মূল বিষয় ছিল সর্বনামের ব্যবহারিক বিশ্লেষণ। যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় অ্যানাফোরা রেজোলিউশন। অর্থাৎ, কোন বিশেষ্যপদকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে সর্বনামটি, তাই নির্ণয় করে অ্যানাফোরা। সাজিয়া তার প্রয়োগ করলেন চিকিৎসাক্ষেত্রে।
সাজিয়া ভাষাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। প্রাথমিকভাবে যন্ত্রণার পরিভাষা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করতে হয়েছে তাঁকে। তৈরি করতে হয়েছে এই ধরণের পরিভাষার শব্দকোষ। তারপর প্রযুক্তি এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের সাহায্যে তার বিশ্লেষণের জন্য তৈরি করতে হয়েছে যথাযথ অ্যালগরিদম।
‘কগনিটিভ চ্যালেঞ্জেস অব অ্যানাফোরা: আ স্টাডি অন বাংলা প্রনোমিনাল এক্সপ্রেশন’। গত বছরই স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সময়ে প্রকাশ পেয়েছিল সাজিয়ার এই গবেষণাপত্র। এবার স্বীকৃতি মিলল তার। এই উল্লেখযোগ্য গবেষণার উপর ভিত্তি করেই যে আগামী দিনে চিকিৎসা প্রযুক্তিতে বিপ্লব আসতে পারে, তা বলার অপেক্ষা থাকে না। হয়তো এই প্রযুক্তির ওপরে নির্ভর করে প্রাথমিক রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হতে পারে যন্ত্রের মাধ্যমেই। সেখানেই অভিনবত্ব সাজিয়ার গবেষণায়…
আরও পড়ুন
নাসার মঙ্গল-অবতরণের অন্যতম কাণ্ডারী দুই বাঙালি-সহ চার ভারতীয় বংশোদ্ভূত
তথ্যসূত্রঃ ভাষা নিয়ে গবেষণা থেকে এল পুরস্কার, সামিয়া শারমিন, প্রথম আলো
আরও পড়ুন
মঙ্গলে হেলিকপ্টার ওড়াবেন বাঙালি-সহ তিন ভারতীয়, ইতিহাসে প্রথম
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
করোনা প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা বাঙালি বিজ্ঞানীর, মার্কিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র