বাবা চলে গেছেন দেড়বছর আগে। তাঁর পাঠানো শেষ মেসেজগুলো মেয়ের পড়ে ওঠা হয়নি। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল বাবার লেখা শেষ শব্দগুলোও। মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু কথায় বলে, যার শেষ ভালো তার সব ভালো। অবশেষে বাবার মৃত্যুর প্রায় বেশ কয়েকমাস পর তিনি আবারও পড়তে পারছেন সেই মেসেজগুলো, যা তাঁর বাবা তাঁকে পাঠিয়েছিলেন। আর এসব সত্যি হওয়ার একমাত্র কারণ তাঁর হারিয়ে যাওয়া ফোনটির পুনরুদ্ধার হওয়া।
উনচল্লিশ বছরের এরিকা বেনেট ২০১৮ সালের জুন মাসে নদীবক্ষে ভ্রমণের সময় তাঁর ফোনটি হারান। তাঁর স্বামী জলের তলায় ডুব দিয়েও ফোন উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ফোনে এরিকার বাবার লেখা কিছু মেসেজ ছিল। ওই মাসেই তাঁর বাবা উইলিয়াম সাইকস লিউকোমিয়ায় মারা গেছিলেন। তাই বাবার পাঠানো শেষ শেষ মেসেজগুলো পড়তে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই এরিকা ভেঙে পড়েন।
প্রায় পনেরো মাস বাদে দক্ষিণ ক্যারোলিনার রিজভিলের এডিস্টো নদী থেকে তাঁর ফোনটি পাওয়া গেছে শুনে স্বভাবতই অভিভূত তিনি। এবছর সেপ্টেম্বর মাসে, মাইকেল বেনেট নামের এক ব্যক্তি এডিস্টো নদীতে স্কুবাডাইভ করতে গিয়ে জলের আট ফুট তলায় ফোনটি খুঁজে পান। তিনি খুবই আশ্চর্য হন, যখন বাড়ি গিয়ে ফোনটিতে চার্জ লাগিয়ে দেখেন সেটি চালু হচ্ছে। বিস্মিত মাইকেল বলেন যে, বহু ফোন তিনি পেয়েছেন ডাইভিংয়ের সময় কিন্তু কখনোই কোনো ফোন চালু পাননি। এরিকার ফোনের পাসওয়ার্ড তিনি জানতেন না বলে ফোনের সিম বার করে অন্য একটি ফোনে লাগিয়ে এরিকার কনট্যাক্ট লিস্ট থেকে তাঁর ফোন নম্বর জোগাড় করেন।
এতদিন বাদে হারানো ফোনের খবর এবং সেটি চালু থাকার এমন অসম্ভব সংবাদে আবেগে আপ্লুত এরিকা। যদিও ফোনের ব্যাটারি এতদিন জলে থাকার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত তবু বাবার পাঠানো মেসেজগুলো পড়তে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মেয়ে। তিনি ওই স্কুবাডাইভারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। হয়ত কোনো এক দৈববশেই বাবার শেষ কথাগুলো মেয়ের কাছে ফিরে এসেছে।