করোনায় গোটা দেশ এখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। সমস্ত জায়গায় ডাক্তাররা জীবন বিপন্ন করে লড়ছেন। সেইসঙ্গে প্রশাসনের তরফ থেকেও একের পর এক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভারতে এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনের শেষ সপ্তাহ। এমন পরিস্থিতিতেই আজ, দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আবারও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর নিজের মন্ত্রিসভা ও সচিবদের সঙ্গেও বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই উঠে এল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা চাইলে নিজের বাড়িতে থেকেও চিকিৎসা করতে পারেন। সেই সুবিধা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতেই চিকিৎসা করা যেতে পারে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সবদিক থেকে যাতে হোম কোয়ারান্টাইন করা যায়, তার ওপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ম আজ থেকেই শুরু করা হবে।
এছাড়াও আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা উঠে আসছে। এক নজরে দেখা যাক সেসব—
১) রাজ্যে লকডাউন ২১ মে অবধি চলতে পারে। এমনকি গোটা দেশেও লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই সংক্রান্ত ঘোষণা করা হতে পারে।
২) রাজ্যে রেড, অরেঞ্জ, গ্রিন জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। রেড জোনে লকডাউনের সমস্ত নিয়ম অত্যন্ত কড়াভাবে মানা হবে। অন্যান্য জোনগুলোতে একটু একটু করে শিথিল করা হবে নিয়ম। যে সমস্ত এলাকায় ২১ দিন কোনো সংক্রমণ হয়নি, সেখানে নিয়মের ছাড় দেওয়া হবে।
৩) জরুরি নয়, এমন পণ্যের হোম ডেলিভারিতেও ছাড় দেওয়া হল। যেটা আগে শুধু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে ছিল।