বন্ধ হল খুচরো দোকান, শুরু কড়াকড়ি – আবার লকডাউনের পথে রাজ্য?

চার দফার লকডাউন কাটিয়ে পরবর্তী দুটি ধাপে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছে মানুষ। কিন্তু এর মধ্যেই আবার আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন অনেকে। সম্প্রতি প্রশাসনিক স্তরে বেশ কিছু আলোচনাই এই সন্দেহ উস্কে দিচ্ছে। রাজ্যে কি তাহলে আবার চালু হচ্ছে লকডাউন?

আনলক পর্যায়ে জনজীবন স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ। আর এ-রাজ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি কলকাতা এবং উত্তর চব্বিশ পরগনায়। এই সংক্রমণ আটকাতেই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, কলকাতার মোট ১৯টি রাস্তাকে সম্পূর্ণ কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এর মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডে দুটি করে এমন রাস্তাও আছে, যেগুলি পুরনো হটস্পট আইন অনুযায়ী সিল করে দেওয়া হয়েছে। ভবানীপুর এলাকার ৭০ নম্বর এবং দেশপ্রিয় পার্ক লাগোয়া ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি করে রাস্তা সিল করা হয়েছে। এছাড়া ১,৩,৮,৯ এবং ১০ নম্বর বরোতে সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি। তাই বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে এই এলাকাগুলির দিকে।

পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ফের কড়াকড়ি শুরু করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনও। মঙ্গলবার থেকেই সমস্ত চা, পান-সিগারেটের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের একক দোকান খোলা থাকবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এমনকি দমদম বিমানবন্দরের উপরেও কড়াকড়ি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২৮১ জনের মধ্যে ৮৫ শতাংশই ফ্ল্যাট বাড়ির অথবা নিজস্ব বাড়ির বাসিন্দা। মাত্র ১৫ শতাংশই বস্তিবাসী। এই পরিসংখ্যান দেখিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেছেন এক শ্রেণীর মানুষের উদাসীনতা এবং উন্নাসিকতাই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী। পাশাপাশি কড়া আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন তিনি কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কেবলমাত্র কিছু নির্দিষ্ট এলাকা সিল করা হবে, নাকি সার্বিক লকডাউনের দিকেই হাঁটবে রাজ্য? সেবিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট কোনো উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে এবার থেকে ২০ শতাংশ কর্মচারী নিয়েই কাজ চলতে পারে। পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে অটো, টোটো, বাস সহ সমস্ত যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থার উপরেও নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে রাজ্য।

Powered by Froala Editor

Latest News See More