দেশে সংক্রমণের মাত্রা আয়ত্তে আসেনি এখনও। এই মুহূর্তে লকডাউন উঠলে কঠিন হবে পরিস্থিতি। তাই ৩রা মে উঠছে না লকডাউন। তৃতীয় পর্যায়ে মেয়াদ বাড়ানো হল আরো দু’ সপ্তাহ। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত চলবে লকডাউন। শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হল এই ঘোষণা।
সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে নতুন নির্দেশিকাও। তবে স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, শপিং মকগুলি বন্ধ থাকবে আগের মতোই। বিশেষ অনুমতিতে চলতে পারে যানবাহন পরিষেবা। সংক্রমণের নিরিখে আগেই তিনটি পৃথক পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছিল সমস্ত অঞ্চলগুলি। রেড জোন, ওরেঞ্জ জোন এবং গ্রিন জোন। ধারাবাহিকভাবে ২১ দিন কোনো সংক্রমণের ধরা না পড়লে, কোনো অঞ্চলকে ঘোষণা করা হবে গ্রিন জোন হিসাবে। পরিস্থিতি বিচার করেই আলাদা আলাদা ছাড় মিলেছে জোনগুলিতে।
গ্রিন জোনে চলবে ৫০ শতাংশ বাস পরিষেবা। তবে সেক্ষেত্রে মোট ক্ষমতার ৫০ শতাংশ যাত্রী নেওয়া যাবে প্রতি বাসে। গ্রিন জোনে ছাড় দেওয়া হয়েছে অ্যালকোহল এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রিতেও। অরেঞ্জ জোনগুলিতে চালু হবে ট্যাক্সি পরিষেবা। তবে মাত্র একজন যাত্রীকেই নিতে পারবে ট্যাক্সিগুলি। রেড জোনের অঞ্চলগুলিতে বন্ধ থাকবে সমস্ত পরিষেবা। জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়া, অসুস্থ কেউ বেরোতে পারবেন না বাড়ি থেকে।
রেড জোনগুলিতে পূর্বের নির্দেশিকা মেনেই বজায় থাকবে নিয়মগুলি। গ্রামীণ অঞ্চলে শিল্প এবং কৃষিকাজে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ফুড প্রসেসিং, ইটভাটা, সড়ক নির্মাণ চলবে আগের মতোই। পাশাপাশি শহরাঞ্চলে ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়েই চালাতে হবে সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলি। বাকিদের কাজ করতে হবে বাড়িতে থেকেই। আইটি এবং মিডিয়ায় বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সমস্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ-ও। দীর্ঘ পর্যালোচনার পর সন্ধেবেলা সরকারিভাবেই ঘোষণা করা হয় নতুন নির্দেশিকা। আগামী ৪ মে থেকে কার্যকরী হবে এই নতুন নির্দেশিকা।