ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ভাইরাসের সংক্রমণ। দেশে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার স্পর্শ করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিসংখ্যানের নিরিখে দেখা গেছে ,এর ৭০ শতাংশ আক্রান্তই কলকাতা-হাওড়া সহ মোট ১৩টি প্রধান শহরের। তাই শুধু কন্টেনমেন্ট জোনগুলিকে হটস্পট হিসাবে টার্গেট করেছে কেন্দ্র। সোমবার থেকে পঞ্চম পর্বের লকডাউনে কঠিন নিয়ম কার্যকর হবে পারে এই অঞ্চলগুলিতে। এই সব অঞ্চলে লকডাউন চলবে অন্তত ৩০শে জুন অবধি। বাকি এলাকায় ধাপে ধাপে খুলে যাবে প্রায় সবকিছুই।
নতুন নির্দেশিকায় কমিয়ে আনা হল নাইট কার্ফিউয়ের সময়। এবার থেকে ৭টার পরিবর্তে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা অবধি চলবে নাইট কার্ফু। ৮ই জুনের পরে খুলতে পারে রেস্তোরাঁ, ধর্মস্থান, অফিস, হোটেল এমনকি শপিংমলও। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। স্কুল কলেজগুলি খুলতে পারে জুলাই থেকে।
মেট্রোরেল, থিয়েটার, সিনেমা হল, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, ক্রীড়ানুষ্ঠান বন্ধ থাকবে আগের মতোই। তবে আন্তঃরাজ্য পরিবহনে আলাদা করে কোনো অনুমতিপত্রের প্রয়োজন পড়বে না এবার থেকে।
কলকাতা-হাওড়া ছাড়া কেন্দ্রের নজরে রয়েছে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, পুনে, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর, জয়পিউর, যোধপুর, ছেঙ্গালপাট্টু, থানে এবং আহমেদাবাদ। দেশে হটস্পটের আওতায় আনা হয়েছে নতুন করে ১৪৫টি জেলাকেও। কলকাতার মধ্যে রয়েছে ২৮৬টি কন্টেন্টমেন্ট জোন। আগামীকাল চতুর্থ পর্বের লকডাউন শেষ হলে রাজ্যগুলিতে ছাড় মিললেও নতুন নির্দেশিকা কঠোরভাবেই মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রে।
আঙুল উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যাসহ পূর্বভারতের রাজ্যগুলির দিকে। অভিযোগ করোনা আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান ঠিক মতো শুরু থেকেই জানায়নি রাজ্যগুলি। ফলে সম্প্রতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। পূর্ব ভারত অদূরেই মহামারীর ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রিসভার সচিব।
Powered by Froala Editor