রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনা। এই দুই ক্লাবের দ্বৈরথ স্পেনের লা লিগাকে ফুটবল জগতে এক অনন্য মাত্রা দিয়েছে। এ বছরও জমে উঠেছে লিগের দৌড়। মাত্র চার পয়েন্টে এগিয়ে রিয়াল। দুই দলের হাতেই রয়েছে এখন পাঁচটি করে ম্যাচ। তবে রোনাল্ডোর চলে যাওয়ায় খানিকটা হলেও নিঃসন্দেহে জৌলস হারিয়েছে জনপ্রিয় এই ফুটবল লিগ। এবার দর্শকদের হতাশার কারণ হতে পারে আরো একটা ক্লাব ট্রান্সফার। মেসি ছাড়তে চলেছেন বার্সেলোনা। এমন খবরই ঘোরাফেরা করছে স্প্যানিশ মিডিয়ার কোণায় কোণায়।
২০১৭ সালে ফুটবল সম্রাটের শেষ চুক্তি হয়েছিল বার্সেলোনার সঙ্গে। ২০২১ সাল অবধি যার মেয়াদ। সম্প্রতি ক্লাবের পক্ষ থেকে মেসির সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলে ফিরিয়ে দেন তিনি। গুঞ্জন উঠেছে এমনটাই। ক্যাতালোনিয়ার স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে মেসি এবং তাঁর বাবা হোরগে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এমনকি ঘনিষ্ঠ মহলের অনেককেই তিনি বলেওছেন ক্লাব ছাড়ার কথা। দাবি সেই সংবাদ মাধ্যমের।
কিন্তু এর কারণ? আর কিছুই না, মেসিকেই ক্লাবের খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। প্রাক্তন কোচ ভালভার্দের ছাঁটাইয়ের পিছনেও মেসির হাত আছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাতেই অসন্তুষ্ট মেসি। ইদানীং দলের ফর্মও হতাশ করেছে তাঁকে। সেই সঙ্গে নেইমারকে পাশে পেতে আবেদন করেছিলেন মেসি। সেই আশাপূরণ করতে ব্যর্থ প্রবাদপ্রতীম ফুটবল ক্লাব। পাশাপাশি কোচিং স্টাফ, ফিজিশিয়ান, এমনকি ক্লাব প্রেসিডেন্টের কিছু সিদ্ধান্তেও আশাহত মেসি।
তবে দল ছাড়তে গেলে এখনও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে। কারণ ২০২১ সালের ৩০ জুন অবধি তিনি চুক্তিবদ্ধ বার্সার সঙ্গে। মেসির ক্লাব ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত সত্যি হলে ম্যানেজমেন্ট কী সিদ্ধান্ত নেবে, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ফুটবল অনুরাগীরা। ইতিমধ্যেই কেরিয়ারে ৭০০তম গোলের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছেন মেসি। বার্সার জার্সিতে করেছেন ৬৩০টি গোল। আজীবন বার্সেলোনায় নিজেকে উজাড় করে দেওয়া পরেও ক্লাবের সঙ্গে মতান্তর এখন কোন দিকে যাবে? প্রশ্ন উঠছে সে ব্যাপারেই। তবে বার্সেলোনার প্রধান প্রতিপক্ষ রিয়ালের কোচ জিনেদিন জিদান চাইছেন, বার্সেলোনাতেই থাকুক এলএমটেন। শুধু জিদান না, বার্সেলোনার বিশ্বজোড়া সমর্থকদের সকলেই যে সেটাই চাইছেন, বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন
মাদকের নেশায় সর্বস্বান্ত মারাদোনার সহ-ফুটবলার, দিন কাটছে রাস্তায়
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
লিভারপুলের জয় দেখার জন্য মৃত্যুকেও ঠেকিয়ে রেখেছিলেন ডেভ ইভান্স