দীর্ঘ জটিলতার পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে টোকিও অলিম্পিক। বিভিন্ন দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে অলিম্পিকের মনোনয়ন প্রতিযোগিতা। কিছুদিন আগেই আমেরিকার মনোনয়ন প্রতিযোগিতার জন্য জড়ো হয়েছিলেন নানা প্রদেশের অ্যাথেলিটরা। হেপ্টাথলন প্রতিযোগিতার জন্য নাম দিয়েছিলেন ১৫ জন প্রতিযোগী। কিন্তু প্রতিযোগিতার শেষে বিচারক থেকে দর্শক সবার দৃষ্টি চলে যায় একেবারে শেষে দাঁড়িয়ে থাকা লিন্ডসে ফ্লেচের দিকে। না, তিনি জিততে পারেননি। কিন্তু তারপরেও তিনি বিজয়িনী। ১৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ফ্লেচ অংশগ্রহণ করেছেন হেপ্টাথলন প্রতিযোগিতার ৭টি বিভাগেই। এর চেয়ে বড়ো কৃতিত্ব আর কী হতে পারে?
এর আগে ২০১২ এবং ২০১৬ সালের অলিম্পিকের জন্যও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন লিন্ডসে ফ্লেচ। অবশ্য একবারও মনোনীত হননি তিনি। এরপর হয়তো বয়সের কারণেই আর সুযোগ পাবেন না কোনোদিন। এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল ২০২০ অলিম্পিকের প্রস্তুতি। তবে করোনা অতিমারীর কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সেই প্রতিযোগিতার ভবিষ্যতও। শুধু তাই নয়, সারা পৃথিবীর সমস্ত অ্যাথেলিটের প্রশিক্ষণও বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় ফ্লেচ পুরোপুরি গুটিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। তার মধ্যেই গর্ভধারণ করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অলিম্পিকের সময়সূচি প্রকাশ পেলে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি ফ্লেচ। শেষবারের মতো এই লড়াই লড়তে হবে তাঁকে।
ফ্লেচকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বারণ করেছিলেন তাঁর চিকিৎসক। বিশেষ করে জ্যাভলিন থ্রোয়িং এবং স্প্রিন্টের মতো খেলা তাঁর জন্য যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারত। কিন্তু ফ্লেচের জেদের কাছে হার মানতে হয় সবাইকেই। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাঁর জন্য নিয়মে বেশ কিছু শিথিলতা আনে। যাতে শরীরের কোনো ক্ষতি না করেই তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। না, তারপরেও অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে পারেননি ফ্লেচ। কিন্তু এই পরাজয়ই তো শেষ কথা নয়। ফ্লেচের মানসিক দৃঢ়তার কাছে হার মেনেছেন সকলেই।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মেদিনীপুরের প্রণতিকে ঘিরে অলিম্পিকে পদকজয়ের স্বপ্ন ভারতের