দুজনেই জন্মগতভাবে মেয়ে। তা সত্ত্বেও একে অপরকে ভালবেসেছিলেন। একসঙ্গে সংসার করতে চেয়েছিলেন। আর এই ভালবাসাকেই ‘অন্যায়’ বলে দাবি করল চার্চ! দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের এই ঘটনা আরও একবার বৃহত্তর সমাজের গোঁড়ামিকে সামনে তুলে আনল। যেখানে ভালবাসার সম্পর্ক থেকেও বড়ো হয়ে দাঁড়ায় মানুষের অন্য কিছু।
মেগান ওয়াটলিং এবং সাশা-লি হিকস দুজনেই পরস্পরকে ভালবাসতেন। সেই ভালবাসা থেকেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বিয়ের জন্য কেপ টাউনের একটি জায়গাও ঠিক করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাধ সাধলেন সেখানকার মালিক। একটি মেলের মাধ্যমে মেগানদের জানানো হয় যে, তাঁরা সমকামী বিবাহ আয়োজন করতে পারবেন না। তাতে তাঁদের ‘ধর্মীয় বিশ্বাসে’ আঘাত আসবে!
এমন ঘটনা যে ঘটবে, সেটা ভাবতেও পারেননি মেগান এবং সাশা। ২০০৬ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সমলিঙ্গের বিবাহকে মান্যতা দিয়েছে। তারপরেও এমন ঘটনা কী করে ঘটে? মেল আসার পর মেগান তাঁর নিজের দুঃখ, রাগের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই পোস্ট। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁদের জায়গায় অনড়। ‘ধর্মীয় বিশ্বাস’-কে আঘাত দিয়ে এরকম কাজ তাঁরা করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
২০২০-তে দাঁড়িয়ে, পৃথিবীর অনেক দেশেই সমকামিতা এবং সমলিঙ্গের বিবাহ আইনসিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সমাজের পরিস্থিতি যে বদলায়নি, কেপ টাউনের এই ঘটনা সেটা আবারও প্রমাণ করে দিল। সমকামিতা যে অন্যান্য সবকিছুর মতই যে স্বাভাবিক, সেই কথাটাই অনেকে আজও মানতে রাজি নন। এই জায়গায় কেপ টাউন আর কলকাতা— সবাই একই।