২০১৫-তে ভেঙে গিয়েছিল ব্যান্ড, লকডাউনে আবার ‘ফিরল’ পিঙ্ক ফ্লয়েড

পিঙ্ক ফ্লয়েড একটা আবেগের নাম। নেশার নাম। ষাটের দশকের পরে প্রচলিত সঙ্গীতের সমস্ত ধারা ভেঙে তৈরি করেছিল নতুন জঁর। সেই সময় থেকে এখনও তাঁদের গান হ্যালুসিনেট করাতে পারে যে কাউকে। করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউনে গৃহবন্দি হয়ে আছে গোটা পৃথিবী। চার দেওয়ালের মধ্যেই হাঁফিয়ে উঠছে জীবন। শ্রোতাদের এই একঘেয়েমি কাটাতে এবার উদ্যোগ নিল পিঙ্ক ফ্লয়েড। প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার, ভক্তদের জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য কনসার্টের ভিডোও ইউটিউবে আপলোড করবে পিঙ্ক ফ্লয়েড।

গত শুক্রবার, ১৭ই এপ্রিল এই ঘোষণার পরই প্রথম দিনের জন্য কনসার্ট আপলোড করে পিঙ্ক ফ্লয়েড। দেখানো হয় ১৯৯৪ সালের লন্ডন এলসকোর্টে অনুষ্ঠিত ৯০ মিনিটের কনসার্ট ‘পালস্’। এই রেশ ধরেই প্রতি শুক্রবার যুক্তরাজ্যের সময় অনুযায়ী সন্ধে ৫টায় (ভারতীয় সময়ে রাত সাড়ে ৯টা) আসবে এক একটি কনসার্ট। তবে দেখানোর পরেও আর্কাইভে রাখা থাকবে সেগুলি। দেখা যাবে স্ট্রিমিং শেষ হওয়ার পরেও।

কোয়ারেন্টাইনে সকলকে বাড়ি থাকার অনুরোধ করেই এই চিন্তাভাবনা। এদিন নিজেদের ফেসবুক পেজে এমনটাই জানিয়েছে এই জনপ্রিয় প্রোগ্রেসিভ রক ব্যান্ড। প্রতি শুক্রবার, ইউটিউবে ছোটো ছোটো ভিডিও বহুদিন আগে থেকেই প্রকাশ করত পিঙ্ক ফ্লয়েড। কিন্তু যুক্তরাজ্যে মেয়াদ বেড়েছে লকডাউনের। তাই আগামী চার সপ্তাহের জন্য সম্পূর্ণ কনসার্টের ভিডিয়োকেই বেছে নিল এই ব্যান্ড।

গত ২০১৫ সালে, পিঙ্ক ফ্লয়েডের গায়ক ডেভিড গিলমোর পিঙ্ক ফ্লয়েডের অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন। বলেছিলেন, ব্যক্তিগত ভাবে ব্যান্ডের প্রত্যেক সদস্যই আলাদা আলাদা কাজ করলেও একত্রে পিঙ্ক ফ্লয়েডকে স্টেজে দেখা যাবে না আর। আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে সমাপ্ত হয়েছিল একটি যুগের। পৃথিবীজুড়ে লকডাউন যেন ফিরিয়ে দিল সেই সোনার সময়কে।

তবে শুধু পিঙ্ক ফ্লয়েড নয়। এই দুঃসময়ে শ্রোতাদের পাশে থাকতে পূর্ণদৈর্ঘ্য কনসার্ট প্রকাশের কথা ঘোষণা করেছে বিখ্যাত আমেরিকান মেটাল ব্যান্ড মেটালিকা এবং রেডিওহেড-ও। ‘গ্লোবাল সিটিজেন’-এর তরফে আয়োজন করা হয়েছে একটি অনলাইন কনসার্টও। ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড : টুগেদার অ্যাট হোম’। ভার্চুয়াল এই কনসার্টে বিভিন্ন দিন আমন্ত্রিত থাকবেন বিভিন্ন সঙ্গীতের বিখ্যাত কিংবদন্তি। দেখা যাবে বিলি এলিস, আন্দ্রেয়া বসেল্লি, গ্রিন-ডে’র টু ডলার বিলি জো আর্মস্ট্রংকেও। এই কনসার্ট থেকে আসা সমস্ত অর্থ সাহায্য তুলে দেওয়া হবে ‘হু’-এর সলিটারি রেসপন্ড ফান্ডে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম সারির সৈনিক স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বরাদ্দ করা হবে এই অর্থ। এমনটাই জানিয়েছে ওই সংস্থা।

More From Author See More