গত আগস্টেই ৯০ তম জন্মদিন পালন করলেন তিনি। সারা বিশ্বের অগণিত দর্শক সেদিনও মনে রেখেছিল পর্দার প্রথম জেমস বন্ডকে। তাঁর চেহারার কথা মাথায় রেখেই যেন তৈরি হয়েছিল চরিত্রটা। সেই জীবন্ত স্মৃতির মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন শন কনেরি। গত রাত্রে ঘুমের মধ্যেই প্রাণ হারান আন্তর্জাতিক সিনেমা জগতের অতি পরিচিত নক্ষত্র।
বার্ধক্যজনিত কারণে বেশ কিছু বছর ধরে শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল তাঁর। কিন্তু এর মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর কথা ভাবেননি কেউই। শন কনেরির মৃত্যুতে তাই স্বাভাবিকভাবেই শোকাহত অসংখ্য অনুরাগী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ব্রিটিশ রয়্যাল নেভিতে প্রথম কাজে যোগ দেন শন কনেরি। তরুণ বয়সেই তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা মুগ্ধ করেছিল সহকর্মীদের। কিন্তু সেনাবাহিনীর কাজে বেশিদিন মন টিকল না তাঁর। ফলে একসময় সব ছেড়ে চলে এলেন কিংস থিয়েটারে।
এরপর স্বাভাবিক নিয়মেই থিয়েটারের মঞ্চ থেকে চলচ্চিত্রের পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটল স্কটিশ অভিনেতার। ১৯৫৪ সালে ‘লিলাক্স ইন দ্য স্প্রিং’ মুক্তি পাওয়ার পরেই তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করে নেয়। তবে ১৯৬২ সালে ‘ড. নো’ সিনেমায় জেমস বন্ডের ভূমিকাতেই তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান। এরপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। জেমস বন্ডের ৭টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার বাইরেও কাজ করেছেন হিচককের মতো পরিচালকের সঙ্গে। ‘মার্নি’ বা ‘দ্য হিল’-এর মতো সিনেমা সত্যিই তাঁর অভিনয় দক্ষতা ছাড়া অসম্পূর্ণ। ১৯৮৮ সালে পেয়েছেন অস্কার পুরস্কার। ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের মহারানির কাছ থেকে পেয়েছেন নাইট উপাধি। আবার অভিনয়ের পাশাপাশি জড়িয়ে থেকেছেন স্কটল্যান্ডের মুক্তির সংগ্রামেও। সত্যিই এক কিংবদন্তিকে হারাল বিশ্বের বিনোদন জগৎ। শন কনেরির জায়গা কেউই নিতে পারবেন না আর।
Powered by Froala Editor