বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর মেরু প্রদেশে বরফের সঞ্চয় যে ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে, এ-কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়েও চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, সকিছু শেষ হয়ে গেলে কি আর কোনোকিছু চিন্তা করে কোনো কোনো লাভ হবে? অন্তত উত্তর কানাডার শেষ মেরু-হিমবাহটি হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রশ্নটাই তুলে দিয়ে যাচ্ছে।
উত্তর কানাডায় একসময় উত্তর মেরুর অনেক হিমবাহ অবস্থিত ছিল। কিন্তু ক্রমশ একে একে হারিয়েছে সবই। শেষ পর্যন্ত এলিসমিয়ার দ্বীপে একটি ৮০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের হিমবাহ টিকে ছিল। কিন্তু জুলাই মাসেই একদল ভূতাত্ত্বিক দাবি করেছিলেন যে এই হিমবাহটিও তার অন্তিম অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। এরপর বেশ কিছু সংস্থা ফিল্ড এক্সপিরিমেন্ট করেও সেই মতেই সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, ক্রমশ বাড়তে থাকা উষ্ণতা, বরফের মাঝে মাঝে তরল জলের উপস্থিতি এবং বিক্ষিপ্ত বায়ুপ্রবাহ প্রমাণ করে এই হিমবাহটিকে বাঁচানোর আর কোনো আশাই নেই।
বিগত এক বছরে বাতাসে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি মেরু অঞ্চলে। বরং ২০২০ সালে লকডাউনের ফলে পরিবেশ দূষণ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও মেরু অঞ্চলের উষ্ণতার রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছে বলেই দাবি করছেন গবেষকরা। তাহলে কি এরপর আর বরফের সঞ্চয়কে বাঁচিয়ে রাখার কোনো আশাই নেই? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকেই। হয়তো এভাবেই গ্রিনল্যান্ড এবং সাইবেরিয়ার সমস্ত হিমবাহ এগিয়ে যাবে ধ্বংসের দিকে। অতএব আশঙ্কা বাড়ছেই...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বাকি পৃথিবীর থেকে তিনগুণ দ্রুত বাড়ছে দক্ষিণ মেরুর উষ্ণতা, জানাল গবেষণা