একজন প্রকৃত শিল্পী তাঁর সারাটা জীবন জুড়ে নিজের সেরা কাজটার খোঁজ করতে থাকে। সৃষ্টির আরও গভীরে ঢুকতে চান তিনি। রিচার্ড স্ট্রস তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। কিংবদন্তি এই জার্মান সঙ্গীতজ্ঞ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তৈরি করলেন একটি বিশেষ মিউজিক। পৃথিবীকে চিরতরে বিদায় জানানোর সঙ্গীত, ‘ফোর লাস্ট সংস’। এমনকি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে সেটাও জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই শেষের সঙ্গীত উদ্ধার করে বিশ্বের সামনে নিয়ে আসেন একজন ভারতীয়। মাইসোরের শেষ মহারাজা, জয়াচাম রাজেন্দ্র ওয়াদিয়র।
শুধুমাত্র মাইসোরের শেষ রাজা হিসেবে নয়, জয়াচাম রাজেন্দ্র’র প্রকৃত পরিচয় একজন সঙ্গীতকার এবং সঙ্গীতবোদ্ধা হিসেবে। বিশেষ করে পাশ্চাত্য সঙ্গীতের প্রতি মনোযোগ ছিল তাঁর। সেই মনোযোগের সূত্রেই রিচার্ড স্ট্রসের ‘ফোর লাস্ট সংস’-কে জনসমক্ষে এনেছিলেন তিনি। ১৯৫০ সালে জয়াচামের উদ্যোগে প্রথমবার লন্ডনে সঙ্গীতটির প্রিমিয়ার হয়। রিচার্ড স্ট্রস যেমনভাবে চেয়েছিলেন, ঠিক তেমনভাবেই উপস্থাপিত করা হয় সমগ্র কাজটি। তবে শুধু এই কাজটিই নয়। জয়াচাম রাজেন্দ্র নিজে একজন দক্ষ পিয়ানোবাদক ছিলেন। ট্রিনিটি কলেজ অফ মিউজিকের সাম্মানিক ফেলোশিপও ছিল তাঁর। শুনলে আশ্চর্য হবেন, তাঁর ব্যাক্তিগত সংগ্রহে প্রায় ২০ হাজার সঙ্গীতের কালেকশন ছিল!