মানচিত্র কি শুধু ভূগোলের হয়? ইতিহাসেরও হয়। এই যেমন ধরা যাক পৃথিবীর বৃহত্তম ৩-ডি মানচিত্রটি। না, পৃথিবীতে তৈরি হলেও মানচিত্রটি পৃথিবীর নয়। তার একটি ছোট্ট অংশে আছে পৃথিবী। আর বাকি মানচিত্র জুড়ে অসংখ্য নক্ষত্র, ছায়াপথ, নীহারিকা। হ্যাঁ, এখনও অবধি বিজ্ঞানীদের চেনা গোটা মহাকাশকেই ধরা হয়েছে এই একটি মানচিত্রের মধ্যে।
পৃথিবীর নানা প্রান্তের মহাকাশবজ্ঞানীদের নিয়ে ২০১৫ সালে তৈরি হয়েছিল সোলান ডিজিট্যাল স্কাই সার্ভে। আর ৫ বছর ধরে প্রচেষ্টার পর সেই মানচিত্র প্রায় তৈরি। বাকি শুধু সামান্য কিছু সংযোজন। আর তাতেই আছে প্রায় ২ মিলিয়ন ছায়াপথ। এখন ভাবছেন নিশ্চই, এই মানচিত্রে ইতিহাস কীভাবে ধরা দেবে? আসলে আমাদের থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে আছে যেসব নক্ষত্র জগৎ, তাদের থেকে আগত আলোর উৎপত্তিও বহু বছর আগে। সেই আলোর মধ্যে দিয়েই ধরা দিচ্ছে ফেলে আসা সময়ও। এভাবেই এই মানচিত্রে ধরা পড়েছে প্রায় ১১ বিলিয়ন বছর। অর্থাৎ যতদিন আগে ব্রহ্মাণ্ডের বয়স ছিল মাত্র ৩০ লক্ষ বছর।
মজার বিষয় হল, ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির ইতিহাস বিজ্ঞানীরা অনেকটা আন্দাজ করতে পারলেও এই মেঝের সময়টার ইতিহাস প্রায় অজানা। আর এই মানচিত্র থেকে সেই ইতিহাস অনেকটাই বোঝা যাবে বলে মনে করছেন ইউনিভার্সিটি অফ উটাহর মহাকাশবিজ্ঞানী কাইল ডাউসন। রবিবার এই মানচিত্রের প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ জন বিজ্ঞানী জানালেন তাঁদের দীর্ঘ পরিশ্রমের কথা। আর সেইসঙ্গে একথাও জানালেন, কীভাবে ভবিষ্যতের গবেষণাকে আরও সম্ভবনাময় করে তুলতে পারে এই একটি মানচিত্র।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বয়স প্রায় ৮.৫ কোটি বছর কম, চাঁদের বয়স নিয়ে নয়া তত্ত্ব মহাকাশবিজ্ঞানীদের