ফেব্রুয়ারি মাস ভাষা আন্দোলনের মাস। আর এই ফেব্রুয়ারি মাসেই নতুন করে ভাষার জন্য জোট বাঁধছেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। বিভিন্ন ভাষাভাষী নানা উপজাতির মানুষরা মিলে তৈরি করেছেন ঝাড়খন্ডি ভাষা সংঘর্ষ সমিতি (Jharkhandi Bhasa Shangharsh Samiti)। তাঁদের দাবি একটাই, ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ভোজপুরী, মাগাহি এবং আঙ্গিকা ভাষার আগ্রাসন তাঁরা মানবেন না।
সম্প্রতি ঝাড়খন্ড স্টাফ সিলেকশন কমিশনের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী পরীক্ষা থেকে ভোজপুরী, মাগাহি এবং আঙ্গিক ভাষাতেও প্রশ্ন করা হবে। অথচ আদিবাসী মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও পালামু ও অন্যান্য ভাষাকে এখনও স্বীকৃতি দিতে নারাজ সরকার। এভাবে আসলে ঝাড়খণ্ডের প্রকৃত সংস্কৃতিকে বদলে ফেলার চেষ্টা চলছে বলেই মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহেই আন্দোলন শুরু হয় ধানবাদ শহরে। এরপর সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গিরিডি এবং অন্যান্য শহরে। এরপর সমস্ত রাজ্যের মূলনিবাসী মানুষরা মিলে গড়ে তোলেন নিজেদের মঞ্চ। ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দলগুলি আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের এই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য নয়। বরং ঝাড়খণ্ডের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
ঝাড়খণ্ডের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাইরের ভাষায় প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের পড়ুয়াদের সুযোগ অনেকটা কমবে, এবং প্রশাসনিক স্তরে জটিলতাও তৈরি হবে। এমনটাই মত আন্দোলনকারীদের।
আরও পড়ুন
চলতি শতকেই হারিয়ে যেতে পারে ১৫০০ ভাষা
এরই পাশাপাশি উঠে আসছে আরও কিছু দাবি। যেমন ১৯৩২ সালে পাশ হওয়া পাট্টা আইনেরও পরিবর্তন চাইছেন তাঁরা। কারণ আদিবাসীদের চিরাচরিত সংস্কৃতির পরিপন্থী এই আইন। এর আগেও বহুবার এই দাবি উঠে এসেছে নানা উপজাতির মধ্যে থেকে। এবার সেই সমস্ত বিচ্ছিন্ন দাবিকে এক জায়গায় জড়ো করে শুরু হল আন্দোলন। আর এই আন্দোলনকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে ভাষার অধিকারের দাবিটি।
আরও পড়ুন
কলকাতার বুকে একটুকরো ইরানি হাওয়া, আজও ফারসি ভাষা শেখানো হয় এখানে
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করতে হবে পাঠক্রম, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ ইউজিসির