বিষাক্ত সাপের প্রজাতি অনেক, প্রতিষেধক একটিই – চিন্তায় বিজ্ঞানীরা

সাপকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কিন্তু মানুষের হাতে সাপের মৃত্যুর ঘটনাও এ-দেশে কম নয়। তা নিয়ে প্রকৃতিপ্রেমীরা সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াসও চালাচ্ছেন। অন্যদিকে, প্রত্যেক বছর ৪৬০০০ মানুষ ভারতবর্ষে সাপের বিষে মারা যায়। যা সারা পৃথিবীতে সাপের কামড়ে ঘটা মৃত্যুর অর্ধেক। কিন্তু মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, ভুল চিকিৎসা পদ্ধতি ও অ্যান্টিভেনমের অনুপস্থিতিই এর মূল কারণ।

গত এক শতক ধরেই সাপের মৃত্যুর চিকিৎসার গবেষণা বিশেষ কিছু এগোয়নি। গোটা দেশে মোট ৬০ ধরণের বিষাক্ত সাপ থাকলেও, প্রতিষেধক ওষুধ হিসেবে রয়েছে একটিমাত্র অ্যান্টিভেনম।

সবচেয়ে বিষাক্ত চার রকমের সাপের বিষ থেকে এই পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়। কিন্তু সারা ভারতে রয়েছে সাপের অজস্র প্রজাতি। তাদের বিষের রকমও ভিন্ন।  তাই একই জায়গা থেকে এই অ্যান্টিভেনাম তৈরি করা অনুচিত বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। যেসব সাপের বিষ থেকে ওই অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়, সেই সাপগুলি ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে দেখাই যায় না। তবু সেখানেও ব্যবহৃত হয় একই অ্যান্টিভেনম। এই ব্যাপারটিও বেশ সমস্যার।

সাধারণত ঘোড়ার বিষ ধারণ করার ক্ষমতা খুব বেশি। তাই সাপের বিষ নিয়ে তা ঘোড়ার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এরপর ঘোড়ার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে তার নির্যাস দিয়ে এই অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়।

তবে এই পরিস্থিতিতেও দেখা যাচ্ছে আশার আলো। এখনও অবধি ৮টি রাজ্য থেকে মোট ২২টি প্রজাতির সাপের ওপর ভেনাম ম্যাপিং সংক্রান্ত গবেষণা করার অনুমতি পাওয়া গেছে। গবেষণা করে দ্রুত উন্নত নতুন ধরণের অ্যান্টিভেনম তৈরি করলে, মিলতে পারে প্রতিকার।